নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ১১ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭৩ পয়সা (লোকসান)। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৪ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ বা প্রতি শেয়ারর বিপরীতে ৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৮১ পয়সা (লোকসান) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩ পয়সা। আর ঘোষিত এই লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান জানিয়েছে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ ডিসেম্বর।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ নগদ বা প্রতি শেয়ারের বিপরীতে চার পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৬১ পয়সা (লোকসান) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭ পয়সা (লোকসান), আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৬ পয়সা (লোকসান) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়নি।
বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরির অধীনে লেনদেন করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩৯ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ ৩২৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার। এর মধ্যে ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে ৪ কোটি ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭১টি শেয়ার মোট ৮ হাজার ৬৯৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।