নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২৩ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান সামান্য কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৪ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৫ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৭১ পয়সা। এ ছাড়া প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৭ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪১ পয়সা (ঘাটতি)।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৯৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা (ঘাটতি)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ মে বেলা ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এবং তেজগাঁওতে অবস্থিত ইওএন কনভেনশন সেন্টারে (৩০৪, তেজগাঁও, ঢাকা-১২০৮) বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল গত ৬ মে।
এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৯ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ১৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১৪ পয়সা । ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৭৬ পয়সা।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা; আর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে আট টাকা ৯৪ পয়সা।
ওই সময় মুনাফা করেছে ৫ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা; আর ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে আট টাকা ৭৫ পয়সা। ওই সময় মুনাফা করেছে ৬ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৭২ কোটি ৯১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৭ কোটি ২৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৯ দশমিক ১৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার।