Print Date & Time : 11 September 2025 Thursday 7:10 am

প্রধানমন্ত্রীরলক্ষ্যবঞ্চিতশিশুদেরমূলধারায়যুক্তকরা: মসিকমেয়র

প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ;ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পর সেভাবে সবার সক্রিয় সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে গেছেন। কিন্তু নির্মমভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা জাতির পিতাকে হারাই। এর ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পেছনে ফেলে একটি গোষ্ঠী দেশকে শাসন করেছে। ফলে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল সবার অংশগ্রহণ থাকবে, সামাজিক উন্নয়ন, রাষ্ট্রের পরিবর্তনের জন্য অনেকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সুদীর্ঘকাল পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সাফল্যের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর সব

শ্রেণি-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে আজ বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মূলধারায় যুক্ত করা প্রধানমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য। বিগত সময়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, দরিদ্র পরিবারের সন্তান যারা অর্থের অভাবে লেখাপড়া বা প্রশিক্ষণ নিতে পারত না, তাদের প্রশিক্ষিত করে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়ে মূল ধারায় ফিরে আনাÑএ ধরনের কার্যক্রম আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে করেছি। আর খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত হয়। এজন্য সিটির সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে আমরা এ আয়োজন করেছি, যাতে তারা শরীরিক ও মানসিকভাবে এগিয়ে আসতে পারে।

গতকাল রোববার সকালে নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মসিক ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে সিটি করপোরেশন এলাকায় শিশু-কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র।

মেয়র ভবিষ্যতে ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং পরবর্তী সময়ে সিটি পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যেসব প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে, তারা এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নেবে।

মসিকের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি-বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফরহাদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী, জেলা ক্রীড়া অফিসার আবদুল বারী, মসিকের প্যানেল মেয়র-৩ সামীমা আক্তার ও ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শরীফুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মসিকের অন্যান্য কাউন্সিলর, (ভারপ্রাপ্ত) সচিব, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিঞা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহুরুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী রাফিকুজ্জামান, মাসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজিব,  খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার নন্দী প্রমুখ।

ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন ও ভলিবল প্রতিযোগিতায় পাঁচটি ইভেন্টে ২৪০টি সুবিধাবঞ্চিত শিশু অংশ নেয়।