মো. আসাদুজ্জামান নূর: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের সামান্য উত্থানে লেনদেন হয়েছে। একই সঙ্গে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় ছিল প্রধান খাতগুলো। প্রধান প্রধান খাতে লেনদেন ও দর বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ছিল পুঁজিবাজার।
লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, গতকাল প্রধান খাতগুলোয় বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া দ্রুত মুনাফা লাভের আশায় ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের কোম্পানিতে সুযোগ নিয়েছেন তারা। এর প্রভাবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সূচক বেড়ে লেনদেন হয়। কিন্তু এরপর মুনাফা গ্রহণের কারণে নি¤œমুখী ধারায় লেনদেন হয়। দিন শেষে সূচকে যোগ হয়েছে মাত্র চার পয়েন্ট।
গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স চার পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে সাত হাজার ৮৫ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএস৩০ কমেছে সাত পয়েন্ট। আর শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস বেড়েছে চার পয়েন্ট।
সূচক বৃদ্ধিতে তুলনামূলকভাবে বেশি ভূমিকা রেখেছে ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের কোম্পানিগুলো। সূচক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে চারটিই ফার্মা খাতের। সূচক বাড়ানো কোম্পানিগুলো হলোÑস্কয়ার ফার্মা, বিকন ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, ওরিয়ন ফার্মা, খুলনা পাওয়ার, ন্যাশনাল ব্যাংক, একমি ল্যাব, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ট্রাস্ট ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংক। সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ছয় দশমিক ৮১।
বিপরীতে সূচক কমিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ওয়ালটন হাইটেক, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো ফার্মা, রবি, বেক্সিমকো, ইসলামী ব্যাংক, সামিট পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
এদিকে প্রধান খাতগুলোয় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ মোট লেনদেনের পরিমাণও বাড়িয়েছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৫৪ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট, আগের দিনের চেয়ে যা ১০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি। বুধবার লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১৫০ কোটি ৮১ লাখ টাকার।
লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রধান খাতগুলো। শীর্ষ পাঁচ খাতের চারটিতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। গতকাল খাতভিত্তিক লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৫ দশমিক ৭৭, প্রকৌশল ১৩ দশমিক ৮০, বিবিধ ১২ দশমিক ৪২, বস্ত্র ৯ দশমিক ৩৪ ও খাদ্য খাতে সাত দশমিক ৬৫ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া আগ্রহের কারণে খাতগুলোয় দর বৃদ্ধিও দেখা গেছে। এগুলোর মধ্যে ওষুধ খাতে ৫১, প্রকৌশল ৫৪, বিবিধ ৬১, বস্ত্র ৬৪ ও খাদ্য খাতে ৭১ শতাংশের বেশি কোম্পানির দর বৃদ্ধি দেখা গেছে। দিন শেষে লেনদেন হওয়া ৩৮০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭১টির, কমেছে ১৬৩টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৪৬টির।