সাতক্ষীরায় গো-খাদ্যের দাম চড়া

প্রভাব পড়বে কোরবানির পশুর হাটে

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা: পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাতক্ষীরার খামারিরা। তারা নিয়মিত পশুর যত্ন নিচ্ছেন। তবে গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় কোরবানির হাটে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাতক্ষীরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরাতে এবার কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৭০৮টি। তবে জেলার চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৫৭৭টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৪৫ হাজার ২৬৫টি, মহিষ ৭৩৭টি, ছাগল ৭৬ হাজার ৫৯২টি এবং ভেড়া ছয় হাজার ৩১১টি। সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রতিবছরের মতো এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে।

সাতক্ষীরার তালতলা গ্রামের খামারি আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার খামারে বর্তমান কোরবানিযোগ্য পশু আছে ৩০টি। তবে খাদ্য-খাবারের যে দাম, লাভ করা খুব টাফ ব্যাপার। তারপরও আমরা চাষি। এটাই আমাদের পেশা।’

খামারি ওমর আলী বলেন, ‘আমি ২০০০ সাল থেকে গরু পালন করছি। এ বছর আমার খামারে ১৫টি গরু কোরবানির জন্য বিক্রি করা হবে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার গো-খাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে গরুর দাম বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। গত বছরের তুলনায় একটু দাম বেশি না হলে খামারিরা বাঁচবে না।’

এবারও কোরবানির পশুর দাম চড়া হবে বলে জানান খামারি নাজমুল হাসান। এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। তাই একটু লাভ করতে হলে বেশি দামে পশু বিক্রি করতে হবে। আশা করছি, এবার ঈদে ভালো দাম পাব।

সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় পশুর হাট আবাদের হাটের ইজারাদার হাবিবুর রহমান হবি। তিনি জানান, সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার আবাদের হাট বসে। গত হাট থেকে মোটামুটি কোরবানির পশু আসা শুরু হয়েছে। ঈদের ১০-১৫ আগে হাট জমে উঠবে।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিগত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ২৯ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গরু পালনের ক্ষেত্রে মোটামুটি ৭০ শতাংশ কৃষক ঘাসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। ফলে গতবার যেমন বাজার স্বাভাবিক ছিল, এবারও স্বাভাবিক থাকবে।