প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে প্রয়োজন হলে বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ডিম আমদানি করতে গেলে তো একটু সময় তো লাগবে। আমরা একটু দেখি। যদি এমনটাই সত্যি হয় যে, ডিম আমদানি করলে পরে এটা (দাম) কমবে, তাহলে আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।

গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ৪০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় উঠেছে। এর আগে ডিমের দাম এতটা বাড়তে দেখা যায়নি। ডিমের সঙ্গে ব্রয়লার মুরগিও কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পোলট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এই শিল্পের প্রায় ৭০ শতাংশই আমদানিনির্ভর। মুরগির খাদ্য, পরিবহন ব্যয়, জ্বালানির দাম ও ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায় মুরগি ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মুরগির বাচ্চার দাম না পাওয়ায় দেশে এখন মুরগি ও ডিমের উৎপাদন সংকটে পড়েছে। সব মিলিয়ে দাম বাড়ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় ডিমের ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে কমানো যায়। তবে সবকিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব না।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কবে স্বাভাবিক হতে পারে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা অনেকেই আশাবাদী, অক্টোবরের মধ্যে হয়ত পরিস্থিতি… কতগুলো ফ্যাক্টর তো কাজ করে। এখন আমি জানি না পুতিন সাহেব কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। এটা তো আমার হিসাবের মধ্যে নেই।

সংবাদ সম্মেলনে শিগগিরই ভোজ্যতেলের দাম পুনর্নির্ধারণের কথা জানান মন্ত্রী।