প্রাক-বাজেট আলোচনা

প্রযুক্তি-অপ্রচলিত পণ্যে ১২ বছর কর রেয়াতের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গার্মেন্টস ছাড়াও অন্যান্য প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ও অপ্রচলিত পণ্যের জন্য ১২ বছরের কর রেয়াত সুবিধা দেয়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। এছাড়া শুল্কমুক্ত সুবিধায় নির্মাণসামগ্রী, মূলধন যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আনার সুযোগের পাশাপাশি শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২ থেকে ৩টি গাড়ি আমদানির সুযোগ, অগ্নিনিরাপত্তা-সংক্রান্ত সরঞ্জাম, সোলার সিস্টেম আমদানিতে শুল্কছাড় চেয়েছে তারা। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় বেপজা কর্তৃপক্ষ এ দাবি তুলে ধরে। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বেপজা ছাড়াও এদিন রাজস্ব বোর্ডকে নিজেদের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বিজনেস ইনিসিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

অনাবাসিক ব্যক্তির আয়ের ওপর প্রযোজ্য উৎসে কর কর্তনের হার ২০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ থেকে ১০ শতাংশ করার সুপারিশ জানিয়েছে বিডা। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) ও পয়েন্ট অব সেলস মেশিন (পস) ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থার সুপারিশ জানানো হয়েছে। কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশের ওপর আগাম কর প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে কমিয়ে তা চূড়ান্তভাবে শূন্য শতাংশ করা ও সব ক্ষেত্রে আগাম করহার ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সভায়। সবুজ শিল্প তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি শুল্ক ও ভ্যাটমুক্ত আমদানি সুবিধা দেয়া, ইপিজেডের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কর রেয়াত সুবিধাও চেয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

শুল্কমুক্ত সুবিধার কিছু প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এত বিপদে নেই যে বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য উজাড় করে দিতে হবে। এক সময় রপ্তানির জন্য অনেক কিছু করেছি, বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করেছি। এখন আমরা সেই অবস্থায় নেই। এখনও যদি আগের মানসিকতা রাখি তাহলে উন্নত দেশ হবো কী করে। এখন আমরা আগের সিদ্ধান্তগুলো পুনর্বিবেচনা করব, দেখব যে কোথায় আর সাপোর্ট দরকার নেই।

তিনি বলেন, লিখিত প্রস্তাবগুলো আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করি, তবে সেই অর্থে বিবেচনা করতে পারি না। আপনারা যখন কথা বলেন, শুধু নিজের অবস্থান থেকে কথা বলেন। কখনও এনবিআরের অবস্থানটা বুঝতে চান না। আমরা চাই দেশেই কোয়ালিটিপূর্ণ পণ্য উৎপাদন হোক। বিদেশ থেকে জাহাজ ভরে পণ্য আসতে থাকবে, আমরা সাপোর্ট দিয়ে যাবে। এমনটা হতে পারে না। এনবিআর সে রকম ভাবে না।