প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: দীপু মনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল রোববার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে গুজবের শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষাকে ঘিরে কেউ হয়তো গুজব রটাতে পারে।’ তবে গুজব রটিয়ে ধরা পড়লে ‘কঠোর শাস্তি’র হুশিয়ারি দেন তিনি।

গতকাল ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস নিয়ে গুজব রটানো রোধে সার্বক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানেই কোনো ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে, কেউ গুজব ছড়াবার চেষ্টা করছে বা কিছু হচ্ছে, সেখানেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

সংশোধনী সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি নাÑজানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সংশোধনী কিন্তু পুরো বইজুড়ে নয়, বিশেষ বিশেষ বিষয় ছিল। আমরা বলেছি, সেগুলো পরে পড়াতে। এবার যেহেতু পরীক্ষা নেয়ার পদ্ধতিটা ভিন্ন, কাজেই কোনো অসুবিধা হয়নি, হবেও না আশা করি।’

কভিড মহামারির আগে প্রতি বছর সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিকের পরীক্ষা শুরু হতো। কিন্তু গত বছর কভিড ও বন্যার কারণে সাত মাস পিছিয়ে পরীক্ষা শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এ বছর পরীক্ষা এগিয়ে এপ্রিলের শেষ দিন শুরু হলো।

আগামী বছর পরীক্ষার সময় আরও এগোবে কি নাÑজানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর পরীক্ষা এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। তবে যারা পরীক্ষা দেবে, তারা পুরো প্রস্তুতির সময় পেয়েছে কি না, তা দেখা হবে। সারাদেশের শিক্ষকদের একটি মতামত নেয়া হবেÑতারা কোন সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করতে পারবেন। শুধু তো তাড়াহুড়া করে শেষ করলে হবে না, স্বস্তিতে শেষ করতে হবে। শিক্ষকদের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত বছর আমরা পরীক্ষা এগিয়ে আনতে পারতাম, কিন্তু বন্যার কারণে আমাদের পেছাতে হয়েছে। এবার আমরা গত বছরের তুলনায় অনেক এগিয়ে নিয়ে এসেছি। সামনের বছর চেষ্টা করব, স্বাভাবিকের যত কাছাকাছি যাওয়া যায়।’

পাঠ্যবইয়ে ভুল সংশোধন বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভুলভ্রান্তি যেটা সেটা তো ভুলই। গতবার যে কয়েকটি জায়গায় যে কয়েকটি ভুল হয়েছে, তাদের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের যাতে ভুল না হয়, সেদিক থেকে যেন সচেতন থাকেন।’

দুটি কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে, একটির বিষয়ে কোনো রিপোর্ট জানা যায়নিÑএ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কমিটির রিপোর্ট দেখার সুযোগ পাইনি। তাছাড়া আমাদেরও কিছু বাইন্ডিংস ছিল।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।