নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট হয়েছে বিনিয়োগবান্ধব। বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যে বিষয়গুলো রাখা হয়েছে তাতে বাজারে বিনিয়োগ পরিবেশ অনুকূলে থাকবে বলে মনে করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবিত বাজেটে তারা খুশি। ডিএসই থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটিই জানানো হয়েছে।
ডিএসই মনে করে এই বাজেট যুগান্তকারী, ব্যবসাবান্ধব ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুকূল বাজেট। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের অর্জন ও উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়নমূলক ও ব্যবসাবান্ধব যে সুপরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রস্তাব করা হয়েছে, সে জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একগুচ্ছ প্রণোদনা প্রদান করে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয়ের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানায়।
পুঁজিবাজারের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে প্রণোদনাগুলো: বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে শিল্পায়নের জন্য ব্যাংকনির্ভরতা কমানো, মানসম্পন্ন আইপিও বাড়াতে বহুজাতিক ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রদেয় লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ নগদে প্রদান বাধ্যতামূলককরণ, বাজেটে অপ্রদর্শিত টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর পরিহারসহ বিভিন্ন প্রণোদনার জন্য ডিএসই বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং আশা করছে সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের ফলে ক্রমবিকাশমান পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শ্রমশক্তির অধিকতর অংশগ্রহণ। দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো দেশের পুঁজিবাজার। তাই ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমার’ অংশীদার হিসেবে প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পুঁজিবাজার সরকারের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশায় ডিএসই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে।
