প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) : ফটিকছড়ি উপজেলা দাঁতমারায় মোবাইল চুরির অপবাদ দেয়ায় রফিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক ফার্নিচার মিস্ত্রি অপমানে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে হেয়াঁকো বেক বাজার এলাকার এক নকশা মিস্ত্রি রফিককে মোবাইল চুরির জন্য সন্দেহ করেন। গত রোববার সকালে কজন মিলে রফিককে স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান কমলের অফিসে নিয়ে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখে মারধর করে। রফিকের আত্মীয়রা ৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাকে উদ্ধার করে। রফিক নিজেও বেক বাজার এলাকায় ফার্নিচারের নকশার কাজ করেন। এ ঘটনায় বিকালে রফিক নিজ বাড়িতে গিয়ে অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে। তার স্ত্রী বিবি কুলসুমা বেগম স্থানীয়দের জানালে তারা তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানেই আজ সকালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বিবি কুলসুমা বাদী হয়ে ৬ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে বিবাদী করে ভূজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন মো. ওসমান (৩০), হারুন (২৬), মুখলেস (৩৩), আবু তাহের (৫৫), রাজন (৪২) ও আবুল কালাম (৩৫)।
নিহত রফিকের মামাশ্বশুর হাসেম সেক্রেটারি বলেন, আমরা ভাগনি জামাইকে ব্যবসায়িক বিরোধের কারণে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। নেতা কমলের কীসের অফিস বুঝি না। সেখানে সকাল ৯টা থেকে তাকে (রফিক) বন্দি রেখে মারধর করা হয়। সেখান থেকে টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে। পরে অপমানে সে বিষপান করে মারা গেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান কমল বলেন, রফিক মোবাইল চুরি করে তার দোকানের কাঠের নিছে লুকিয়ে রাখে। সেখান থেকে খোঁজাখুঁজির পর মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। প্রথমে সে চুরির কথা অস্বীকার না করলেও পরে তা স্বীকার করে। এ সময় ৪০-৫০ জন লোকের সামনে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে তাকে তুলে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে মুক্তিপণ আদায়ের কথাটি ভিত্তিহীন।