নিজস্ব প্রতিবেদক” আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ কয়েক ধরনের ‘তাজা ও শুকনা’ ফল আমদানির উৎসে কর ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। এসব ফলের তালিকায় রয়েছে ‘তাজা বা শুকনা’ কমলালেবু, ‘লেবুজাতীয়’ ফল, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি।
গত ৯ জানুয়ারি যখন শতাধিক পণ্য ও সেবার বিভিন্ন পর্যায়ে শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানো হয়, তখন সে তালিকায় এসব ফলও ছিল। সে সময় ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়। এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে কভিড-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রিজার্ভের চাপ সামাল দিতে প্রায় ১৩৫টি পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক শূন্য ও তিন শতাংশ থেকে একেবারে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। সে তালিকার বড় অংশই ছিল আমদানি করা ফল। ফলে গত কয়েক বছর ধরেই চড়া বিদেশি ফলের বাজার। এসব ফলের আরেক দফা দাম বাড়ে চলতি রমজান মাসের শুরুতে। কেজিতে ২৫ থেকে ৫০ টাকা বেশি গুনতে হয় ক্রেতাদের।
রাজধানীর বাজারগুলোয় বর্তমানে প্রতিকেজি আপেল ৩২০ থেকে ৪২০, মাল্টা ২৮০ থেকে ৩০০, কমলা ৩০০ থেকে ৩৪০ এবং প্রতিকেজি আঙুর ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে এসব ফলে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আগাম কর আছে। মোটামুটি যত ধরনের শুল্ককর, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ছিল ১৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা কর দিতে হতো।