ফায়ার সেফটি ছাড়া ভবন অনুমোদন নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ফায়ার সেফটি ছাড়া কোনো ভবন নির্মাণ করা হলে তা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হবে না। এখন থেকে যে ভবনগুলো হবে, সেগুলোয় ফায়ার সেফটি থাকতে হবে। ফায়ার সেফটি সনদ থাকলেই সেই ভবন ব্যবহারের অনুমতি দেবে রাজউক বা সিটি করপোরেশন।

ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত অষ্টম আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২২-এর সেফটি এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ অনুষ্ঠান হয়।

দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো ফায়ার সেফটি ও কমপ্লায়েন্স মেনে চলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বের ১০টি গ্রিন কারখানার আটটি এখন বাংলাদেশে অবস্থিত। ফলে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা বেড়েছে, উৎপাদন বেড়েছে এবং আমরা বেশি রপ্তানি করতে পারছি।

তিনি বলেন, ফায়ার সেফটি পণ্যের বেশিরভাগ দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হচ্ছে। আমরা আমদানিনির্ভর থাকতে চাই না। দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন হচ্ছে, সেখানেই ফায়ার সেফটি পণ্য উৎপাদন করা যেতে পারে। দেশের ৩২টি উপজেলায় নতুন করে ফায়ার সার্ভিসের ডিপো স্থাপন করা হয়েছে, এটা দেশের বড় অর্জন। আমাদের সবকিছুতেই অর্জন আছে, এ অর্জন আরও বাড়াতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের শিল্পের জন্য এসব যন্ত্রপাতি খুবই প্রয়োজন সরকারের।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী জানান, ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিল গঠন করার মাধ্যমে ইনডোর-আউটডোর প্রশিক্ষণ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ইসাব অগ্নি নিরাপত্তা সঠিকভাবে বজায় রাখার জন্য ৯টি কোম্পানি পুরস্কৃত করেছে। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোয় আগুন ও বিস্ফোরণ মোকাবিলায় একক অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটারদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ১৩টি ক্রেস্ট বিতরণ করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম, ইএসএসএবি সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, সিনিয়র সহসভাপতি নিয়াজ আলী চিশতি, মহাসচিব মাহমুদুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।