Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 5:48 am

ফিলিস্তিনিদের আফ্রিকায় স্থানান্তর চায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে পূর্ব আফ্রিকায় স্থানান্তর চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। এ বাস্তুচ্যুত করার বিষয়ে আলোচনাও করেছে দেশ দুইটি। খবর: এপি।

দেশ তিনটি হলো—সুদান, সোমালিয়া এবং এর বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ড। সুদানের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এপিকে জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের কোনো আলোচনার বিষয়ে অবগত নন।
গোপন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে কথা বলতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এপিকে নিশ্চিত করেছেন, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, সুদানের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তবে এ আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে বা কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।

ঘটনাটি এমন সময়ে সামনে এল, যার এক মাসেরও বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও গাজা দখলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এ প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। অনেকে এটিকে জাতিগত নিধন বলে অভিহিত করেছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু যখন একসঙ্গে গাজা পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, তার কয়েক দিন পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই তিনটি দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ শুরু করে। কর্মকর্তারা আরও জানান, আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের তথাকথিত ‘স্বেচ্ছায়’ দেশত্যাগের পক্ষে কথা বলে আসছেন। তিনি গত সপ্তাহে বলেছেন, ইসরায়েল এখন এমন দেশগুলো চিহ্নিত করতে কাজ করছে, যারা ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি খুব বড় অভিবাসন বিভাগ গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এদিকে কেনিয়ার নাইরোবিভিত্তিক আইনজীবী ও সংঘাত গবেষক সাম্বু চেপকোরির বলেন, সোমালিয়া ফিলিস্তিনের স্বশাসনের দৃঢ় সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তারা কেন ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে চাইবে, তা বোঝা কঠিন। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ সব সময় পরিবর্তিত হয়। হয়তো সোমালিয়াকে নিয়ে কোনো গোপন উদ্দেশ্য রয়েছে। সুদানের দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপিকে জানান, ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক নেতৃত্বাধীন সুদান সরকারকে ফিলিস্তিনিদের গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্পের অভিষেকের আগেই এ যোগাযোগ শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, এর বিনিময়ে সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের বিরুদ্ধে সামরিক সহায়তা, যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে সহায়তা এবং অন্যান্য সুবিধার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।