Print Date & Time : 8 August 2025 Friday 4:51 pm

ফিলিস্তিনিদের খাদ্যসহায়তা বন্ধ করল বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি

শেয়ার বিজ ডেস্ক : দুই লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে আগামী মাস থেকে খাদ্যসহায়তা বন্ধ করে দিচ্ছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গত রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর: রয়টার্স।

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে খাদ্যসহায়তার কার্যক্রম চালাতে তাদের পর্যাপ্ত তহবিল নেই। তাই এ কার্যক্রম বন্ধ করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনে নিযুক্ত ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সামের আবদেলজাবের জেরুজালেম থেকে টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তহবিলের তীব্র ঘাটতিতে পড়েছে ডব্লিউএফপি। তাই সীমিত সম্পদ ব্যবহার করতে গিয়ে সংস্থাটি এমন পীড়াদায়ক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। আগামী মাস থেকে দুই লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে খাদ্যসহায়তা বন্ধ করে দেয়া হবে। এ সংখ্যা ডব্লিউএফপির পক্ষ থেকে সহায়তা পাওয়া ফিলিস্তিনিদের ৬০ শতাংশ।
জাতিসংঘের আওতাভুক্ত সংস্থাটির এমন উদ্যোগের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন গাজা ও পশ্চিম তীরের বসবাস করা ফিলিস্তিনিরা। কেননা এসব জায়গায় গরিব মানুষের সংখ্যা বেশি। এসব জায়গায় খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি ও উদ্বেগ রয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের জন্য ডব্লিউএফপির দুই ধরনের সহায়তা প্যাকেজ রয়েছে। একটিতে একেকজন ফিলিস্তিনিকে প্রতি মাসে ১০ দশমিক ৩০ ডলার সমমূল্যের খাবারের ভাউচার দেয়া হয়। অন্যটিতে সহায়তা হিসেবে দেয়া হয় খাবারের ঝুড়ি। এখন বাজেট-স্বল্পতায় সহায়তা কার্যক্রম সীমিত করা হলে এ দুই ধরনের প্যাকেজ থেকে বঞ্চিত হবেন অনেক ফিলিস্তিনি।

২০০৭ সাল থেকে গাজা হামাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২৩ লাখ মানুষ সেখানে বসবাস করেন। এসব ফিলিস্তিনির ৪৫ শতাংশ বেকার। এছাড়া ৮০ শতাংশ মানুষ আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ পরিস্থিতিতে খাদ্যসহায়তার কার্যক্রম বন্ধ করার প্রভাব সম্পর্কে সামের আবদেলজাবের বলেন, কঠিন ও অবশ্যম্ভাবী এ সিদ্ধান্তের প্রভাব সম্পর্কে ডব্লিউএফপি বুঝতে সক্ষম। মৌলিক চাহিদা পূরণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জাতিসংঘের খাদ্যসহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এর কারণে তারা সমস্যায় পড়বেন।

ফিলিস্তিনের হামাস শাসিত অঞ্চলগুলোয় নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরাইল ও মিসর ফিলিস্তিনিদের চলাচল ও পণ্য সরবরাহে বাধা দিয়ে আসছে।
আবদেলজাবের বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরের ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনরায় খাদ্য সহায়তা দেয়া হতে পারে, কেননা তারা তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছেন।