প্রতিনিধি, ফেনী: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সম্প্রতি পলিটেকনিক শিক্ষাকোর্সের মেয়াদ চার বছর থেকে কমিয়ে তিন বছর করার প্রস্তাবনা করেন। শিক্ষামন্ত্রীর এ ধরনের প্রস্তাবনার প্রতিবাদে সারাদেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা এ ধরনের সিদ্ধান্তকে বয়কট করার দাবি জানান। তাদের দাবি পলিটেকনিক শিক্ষা কোর্সকে চার বছর থেকে তিন বছরে কমিয়ে আনলে চাকরির ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
বর্তমানে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের পর্ব সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন পলিটেকনিকে। এসব পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিলেও কোনো শিক্ষক বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কথা শুনেননি। ফলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ এখন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। পলিটেকনিক ছাত্র-শিক্ষক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে সারাদেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা-পরবর্তী আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর বিভিন্ন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন।
এর আগে সকালে ফেনী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ফেনী জেলা আইডিইবির নেতারা। তারা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবর্তিত চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কোর্সের মেয়াদ তিন বছরে নিয়ে আসার বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে এ শিক্ষাব্যবস্থার বিরাজমান সংকট নিরসনে মনোযোগ দেয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। বৃহস্পতিবার জেলা সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২২ বছর ধরে সফলতার সঙ্গে এ কোর্স চলছে এবং দেশ-বিদেশে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা সমাদৃত হচ্ছেন, সে সময়ে কোন গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণে শিক্ষামন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটি নানা প্রশ্নের জন্ম হচ্ছে। বৈশ্বিক কর্মবাজারের ধরন বিবেচনায় যখন ভারত ও পাকিস্তানে এ কোর্সের মেয়াদ চার বছরে উন্নীত করা হচ্ছে, বিশ্বের অনেক দেশে কোর্সের মেয়াদ চার বছর বা তারও বেশি, তখন কী কারণে অভিভাবকদের অর্থ সাশ্রয়ের খোঁড়া যুক্তি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশে এই কোর্সের মেয়াদ চার থেকে তিন বছরে নিয়ে আসার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছেন, তা অযৌক্তিক ও হাস্যকর।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা আইডিইবির সভাপতি আবুল খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নজরুল ইসলাম।