নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মাসওয়ারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি অর্থাৎ পণ্যের দাম বাড়ার গতি বেড়েছে ০.২১ শতাংশ। তবে এই মূল্যস্ফীতিকে অস্বস্তিজনক নয় বলে মনে করছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা (একনেক) শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি মূলত গড় দিয়ে হিসাব করা হয়। বাড়া-কমা নিয়ে গড়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের মূল্যস্ফীতি নিয়ে অস্বস্তির কিছু নেই। এই এখনও স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে। আশা করছি, এ বছর মূল্যস্ফীতি অত্যন্ত সহনীয় থাকবে। আমি মনে করি না কোনো ধরনের চাপ পড়ছে। তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বর্তমানে যে মূল্যস্ফীতি দেখা যাচ্ছে, সেটা উৎপাদন খরচ বাড়ার কারণে হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি মূল্যস্ফীতি, তবে তা সীমাছাড়া মূল্যস্ফীতি (হাইপার ইনফ্লেশন) নয়। পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতির হার ৪০ শতাংশ আর জিম্বাবুয়েতে তা ৩০০ শতাংশ। আমাদের মূল্যস্ফীতি তো সেই পর্যায়ে যায়নি। কাজেই এ দেশের মূল্যস্ফীতি জিম্বাবুয়ের তুলনায় অস্বস্তিকর নয়।’
শামসুল আলম জানান, ‘বর্তমানে ৪১২টি পণ্যের ওপর দেশের মূল্যস্ফীতি হিসাব করা হয়। এখন থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৭০০টি পণ্যের ওপর ভিত্তি করে মূল্যস্ফীতি হিসাব করা হবে।’
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। কিন্তু খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কম থাকলেও অস্বস্তি বেড়েছে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। অবশ্য এটি জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
তবে শহরের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতেও গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি। গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। জানুয়ারিতেও যা ছিল ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শহরে গড় মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, আগের মাসেও যা ছিল ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে কিছুটা বেড়েছে মজুরির হার। ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রমিকের গড় মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের মাসে (জানুয়ারি) ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।