Print Date & Time : 4 July 2025 Friday 6:51 pm

ফেব্রুয়ারির বেতন দেয়নি ১২২ পোশাক কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের অধীনে থাকা ১২২টি কারখানা এখনও শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি। এখনও ঈদ বোনাস দিতে পারেনি ৭২৩টি পোশাক কারখানা। জানুয়ারি বা তারও আগের বেতন বকেয়া রয়েছে ৩০টি কারখানায়। শিল্প পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শিল্প পুলিশের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ এবং বেপজার অধীন মোট দুই হাজার ৮৯০টি পোশাক কারখানা বর্তমানে চালু রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ফেব্রুয়ারির বেতন পরিশোধ করেছে দুই হাজার ৭৬৮টি প্রতিষ্ঠান। আরও ৩০টি কারখানার শ্রমিকদের জানুয়ারি বা তার পূর্ববর্তী মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। চলতি মার্চের জন্য ৪২২টি কারখানা শ্রমিকদের অর্ধেক বেতন অগ্রিম পরিশোধ করেছে। শ্রমিকদের বেতন পরবর্তী মাসের প্রথম সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধের কথা থাকলেও এখনও কিছু কারখানা তা মানতে পারেনি। যদিও শ্রম আইন অনুযায়ীই এ বিধি রয়েছে। তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের ২ হাজার ১৬৭টি কারখানা এরই মধ্যে ঈদুল ফিতরের বোনাস পরিশোধ করেছে। এখনও ৭২৩টি কারখানা ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে পারেনি, যা মোট কারখানার প্রায় ২৫ শতাংশ।

শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, পাটকলসহ অন্য শিল্প কারখানাগুলো মিলিয়ে দেশের মোট ৯ হাজার ৬৯৫টি কারখানার মধ্যে ঈদুল ফিতরের বোনাস পরিশোধ করেছে ৬ হাজার ৬৭৩টি প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে এক হাজার ৮৩৫টি কারখানা। এখনও ৭ হাজার ৮৬০টি কারখানায় মার্চের বেতন বকেয়া রয়েছে। এটি মোট কারখানার প্রায় ৮১ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে, সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করায় ১২টি কারখানার মালিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এসব কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করা পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারবেন না।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২৭ মার্চের মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু ১২টি কারখানা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি কারখানায় অসন্তোষ চলছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আমরা শ্রম আইন অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবÑবলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।