ফেরির রুট সরিয়ে নেয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব পতিবেদক: পদ্মায় এখন তীব্র স্রোত। এ স্রোতে ফেরি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে ফলে বারবার পদ্মা সেতুতে ধাক্কা লাগছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফেরির রুট সরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।

গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতুতে বারবার ফেরির ধাক্কা লাগার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, রানা প্লাজা যখন ভাঙলো তখন মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মতো একজন শিক্ষিত মানুষ বললেন বিএনপি ঝাঁকি দিয়ে ফেলে দিয়েছে। এটা তো কমনসেন্সের ব্যাপার, ফেরি চালাতে পারছে না, এখন পদ্মায় তীব্র স্রোত। পদ্মা তো ছোটখাটো নদী না। সেই পদ্মার স্রোতে এ ধরনের ছোটখাটো ফেরি তো কিছুটা ডাইভার্ট হবেই। সেজন্য দরকার ফেরির রুটটা সরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা। এটা উচিত ছিল। তাদের অবশ্য সুবিধা আছে, ভেঙে গেলে আবার নতুন করে বানাবে, অনেক টাকা খরচ করতে পারবে। বুড়িগঙ্গার ওপরে প্রথম যে সেতুটি, সেটাতে জাহাজ লেগে গিয়ে ভেঙে গেল। সেখানে আবার কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট হবে। প্রজেক্টই তাদের দরকার।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিও করা ও ছবি তোলার জন্য ১৩৫ কোটি টাকার একটা প্রজেক্ট দিয়েছে। টাকা তো গৌড়ি সেন দেয়, সেজন্য অসুবিধা নেই। কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, আমরা আগে যে ফুলছড়ি ঘাট-বাহাদুরাবাদ ঘাট দিয়ে পার হয়ে গাইবান্ধা হয়ে যেতাম যখন যমুনা সেতু হয়নি। সেটা নাকি আবার চালু করার জন্য ১৩৫ কোটি টাকা অলরেডি খরচ হয়ে গেছে। এখন দেখা যাচ্ছে জাহাজ আর চলে না। কারণ নাব্য নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, পাকিস্তান ভারতকে বলে লাভ নেই। বাংলাদেশে কী হচ্ছে সেটা বলতে হবে। আমরা ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। গুম হয়ে যাওয়ার জন্য? ইলিয়াস আলী একজন সংসদ সদস্য, চৌধুরী আলম একজন জনপ্রিয় কমিশনার, একজন সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, একজন ব্যারিস্টার তাদের কোনো খোঁজ নেই। আমাদের দলের প্রায় ৫০০ জনের ওপরে গুম হয়ে গেছে। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যে তারা যে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সেটা প্রমাণ করেছেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা হারুন অর রশীদ মোল্লাকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

বাংলাদেশে টিকা সংগ্রহে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হƒদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক চৌধুরী হাফিজ হাসান, অধ্যাপক মাসুদুল হাসান, অধ্যাপক জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক ও সাবেক ইউএন কর্মকর্তা মাহমুদ উদ সামস চৌধুরীর ব্যক্তিগত উদ্যোগের জন্য তাদের প্রতি দলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।