Print Date & Time : 15 September 2025 Monday 5:19 am

ফের অনাস্থা ভোটের মুখে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

শেয়ার বিজ ডেস্ক; ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এর আগে ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনা হয়। খবর: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

সম্প্রতি সংসদকে পাশ কাটিয়ে পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। তার এ সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি দেশটির সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ দেশটির আইনপ্রণেতারারও। তাই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ম্যাখোঁ ও তার সরকারের ওপর এ অনাস্থা ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে ভোট হলেও তার সরকারের পতন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদিও অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি তার সরকারের জন্য বিব্রতকর।

মধ্যপন্থি দল লিখঁ প্রথম অনাস্থা ভোট আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। এতে সমর্থন জানায় উগ্রডানপন্থি নুপেস জোট।

এর কয়েক ঘণ্টা পর অপর উগ্রডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি পার্টি আরেকটি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয়। সংসদে এ দলটির ৮৮টি আসন রয়েছে।

গত বছর নি¤œকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ম্যাখোঁর দল। তা সত্ত্বেও একাধিক দলের প্রস্তাবিত এ অনাস্থা ভোট হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এ ভোট আয়োজনের জন্য ডানপন্থি, বামপন্থি ও মধ্যপন্থিসহ সব দলের এক জোট হতে হবে।

কনজারভেটিভ লঁ রিপাবলিকান নামের একটি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে এ ধরনের কোনো জোট গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।

অনাস্থা ভোট সম্পর্কে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মাইরে বলেন, সরকারের পতন ঘটানোর মতো কোনো জোট গঠন করা হবে না। কিন্তু এটি একটি সত্যের মুহূর্ত হবে। পেনশন সংশোধন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সরকার পতনের কোনো উপযুক্ত কারণ হতে পারে? পরিষ্কার উত্তর হলো না। সবাইকে তার দায়িত্ব নিতে হবে।

গত সপ্তাহে ফ্রান্সে পেনশনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ বছর করা হয়। এরপর আন্দোলনে নামেন মানুষ। গত চার দিন ধরে এ নিয়ে দেশটিতে অচলাবস্থা চলছে।