শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফ্রান্স ও মরক্কো কোয়ার্টার ফাইনাল পেরিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। এ বিজয় উদযাপনের জন্য ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের শঁজ এলিজেতে জড়ো হয় অনেক সমর্থক। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। খবর: রয়টার্স।
মরক্কো ও পর্তুগালের মধ্যকার ম্যাচের পরপর হাজার হাজার সমর্থক প্যারিসের ঐতিহাসিক শঁজ এলিজেতে জড়ো হয়। পতাকা উঁচিয়ে সেøাগান দিতে থাকে তারা। পরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্রান্সের জয়ের পর আরও কয়েক হাজার সমর্থক তাতে যোগ দেয়। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই বিজয় উদযাপনের সময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে বাধা দেয় পুলিশ।
গত শনিবার রাতে কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে পর্তুগিজদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফ্রিকার দেশ মরক্কো। দেশটির হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ইউসুফ এন-নেসিরি। আফ্রিকা ও আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছে মরক্কো।
অপর ম্যাপ বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ১টায় শুরু হয়। এ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ফেভারিট ফ্রান্স। ফরাসিদের হয়ে গোল দুটি করেন চুয়ামেনি ও অলিভিয়ার জিরুদ। ইংল্যান্ডের হয়ে পেনাল্টিতে একটি গোল করলেও আরেকটি পেনাল্টি মিস করেন হ্যারি কেইন।
রয়টার্সের টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভক্তরা পুলিশি হামলার প্রতিবাদে দোকান ও মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালায় এবং জ্বালিয়ে দেয়। অ্যাভিনিউ দে ফ্রিদলঁদ এলাকায়ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ।
এর আগে বিশ্বকাপে মরক্কোর কাছে ২-০ গোলে বেলজিয়াম হেরে যাওয়ার পর দেশটির রাজধানী ব্রাসেলসে দাঙ্গা বাঁধে। পুলিশ ব্রাসেলসের কেন্দ্রীয় এলাকায় দাঙ্গাবাজদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছুড়ে পুলিশ। কিছু এলাকায় যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে মরক্কোর পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানকার রাস্তায় লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে জয় উদযাপন করে।