শেয়ার বিজ ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিনে গতকাল সারাদেশে প্রাথমিক, ইবতেদায়ী ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। সারাদেশে সব স্কুলে বই উৎসব হলেও বই স্বল্পতার জন্য কোনো কোনো শিক্ষার্থী প্রথম দিন বই পাননি। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সবার হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে সরাদেশে নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
সারাদেশের মতো গতকাল যশোরের স্কুলগুলোয় বই উৎসবের মাধ্যমে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। পুরা সেট বই না পেলেও বছরের প্রথম দিনে বই পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী হতে এবং কোচিং বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন যশোরের জেলা প্রশাসক।
১০ বছর ধরে বছরের প্রথম দিন বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ আনন্দ দিয়ে আসছে সরকার। নতুন শ্রেণিতে নতুন বই পাওয়ার আনন্দ অন্যরকম। যশোরে এ বছর মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বইয়ের প্রয়োজন ছিল ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৬, যার মধ্যে গতকাল ১০ লাখ ৩২ হাজার ৫৬৯টি বই বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ১১০টি বইয়ের বিপরীতে আট লাখ ২৭ হাজার ৭১৬ বই বিতরণ করা হয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম গোলাম আযম জানিয়েছেন, রোববার সব শিক্ষার্থী কিছু না কিছু বই নিয়েই বাড়ি ফিরবে এবং আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছে যাবে।
সম্পূর্ণ সেট না পেলেও বছরের প্রথম দিন নতুন বই পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। তারা বলে, নতুন বই হাতে পাওয়ার আনন্দটা বলে বোঝানো যাবে না। সব বই না পেলেও যে কয়টা পেয়েছি তাতেই খুশি। বাড়ি গিয়ে নতুন গল্পগুলো পড়ব। আগামীর জন্য নিজেদের গড়ে তুলব।
এদিকে বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী হতে এবং কোচিং বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, নতুন বছর সব শিক্ষার্থীকে স্কুলে আসতে হবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের দায়িত্ব নিয়ে কাজটি করতে হবে। ক্লাসেই সব পড়া সম্পন্ন করতে হবে। গৃহশিক্ষক ও কোচিং থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে হবে। ক্লাসে পাঠদানের মাধ্যমেই নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট ও প্রযুক্তিতে পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।