বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর আদলে গড়া প্রধান ফটক দিয়ে বাণিজ্যমেলায় ঢুকে একটু সামনে এগোলেই চোখ পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্বেতভাস্কর্য। এর পেছনে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। নাম রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ। বাণিজ্যমেলায় রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন একটি নিয়মিত আয়োজন। গতবারের তুলনায় এবারের বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের আকার প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। প্যাভিলিয়নের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকাশিত ২৬টি চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসব ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ স্মরণীয় নেতার জীবনালেখ্য।

প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের জন্য একটি থিয়েটার রয়েছে প্যাভিলিয়নে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে এখানে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধাপে ধাপে তার জীবনের ওপর নির্মিত সাতটি আলাদা ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করলে প্রথমে একটি চিত্রকর্মে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গ্রামীণ প্রকৃতি ও শিশুদের ছবি দেখা যায়। এখানে লেখা ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর আরেকটি ছোট নাম ‘খোকা’। শৈশব থেকেই দুঃখী ও গরিব মানুষের প্রতি দরদি’। এভাবে শৈশব, কৈশোর, যৌবনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ওই চিত্রকর্মে।

বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেসকো বিশ্বঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্যাভিলিয়নটি নান্দনিক করে সাজানো হয়েছে। তার কালজয়ী ওই ভাষণকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম, দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীসহ সবাইকে দেশ ও বঙ্গবন্ধুর সত্যিকার ইতিহাস জানানোই প্যাভিলিয়নটি স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য।