শেয়ার বিজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ঝড়ে ডুবে যাওয়া ১১ ট্রলারসহ ১৪৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কোস্টগার্ড, বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি ও সুন্দরবনের দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সমন্বয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এখনও ২৭ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের কবলে ৩২টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা অনেক জেলে সাঁতরে নিরাপদ স্থানে আসেন। আবার অনেকে নিখোঁজ হন।
পরে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জেলে, বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। পরে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এর হলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মামুন শেখ এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ইসমাইল শেখ। মামুন শেখ এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারে এবং ইসমাইল শেখ এফবি জামিলা নামক ট্রলারে ছিলেন। তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই ট্রলার ডুবির ঘটনার পর বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, কোস্টগার্ড ও দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সমন্বয়ে প্রায় শতাধিক ট্রলার উদ্ধারের জন্য সাগরে রয়েছে। এখনো অনেক জেলে ও ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনার পর থেকে কোস্টগার্ড, বন বিভাগ ও জেলেরা দুর্ঘটনায় কবলিত ট্রলার থেকে শতাধিক জেলেকে উদ্ধার করেছে। এছাড়া নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ ও দুবলার ফিসারম্যান গ্রুপসহ বনবিভাগের সদস্যরা ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলেদের সন্ধানে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে শনিবার দিনব্যাপী কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আজ রোববার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের ন্যায় উদ্ধার অভিযান চলছে।