Print Date & Time : 4 August 2025 Monday 3:13 am

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিকপ্রবৃদ্ধির উল্লম্ফন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়ে চার দশমিক আট শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কভিডের বিধিনিষেধ তুলে দেয়ায় নাগরিকরা বাইরের হোটেল-রেস্টুরেন্টে ব্যয় বাড়িয়েছে, যা জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার চালু করায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাও ব্যয় বাড়িয়েছে। ফলে বছরের প্রথম প্রান্তিক থেকে এক দশমিক ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে চার দশমিক আট শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা শীর্ষ ধনী দেশ জি ৭-এর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। খবর: বিবিসি, রয়টার্স।

স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (ওএনএস) ত্রৈমাসিক প্রবৃদ্ধির প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জুন শেষে ব্রিটিশ আর্থিক প্রবৃদ্ধি আগের প্রান্তিকের চেয়ে এক দশমিক ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে চার দশমিক আট শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রত্যাশা ছিল প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশ হবে। সরকারি ওই পরিসংখ্যানে বলা হয়, জিডিপি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে খুচরা বিক্রি, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলÑএ তিনটি খাত।

এ বিষয়ে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সনাক বলেন, প্রবৃদ্ধির এই তথ্যে সহজেই অনুমেয় যে, ব্রিটিশ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের গতি খুবই শক্তিশালী, যা মানুষ প্রত্যাশা করেছে। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কোনো ‘শক’ আছে বলে আমি মনে করি না। বরং সময়ের তালে তালে প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলছে।

গত বছর কভিডের কারণে দেশটির অর্থনীতি প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। সেখান থেকে প্রবৃদ্ধি বেড়ে  চার দশমিক আট শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকস মনে করে এ বছরের শেষে ব্রিটিশ অর্থনীতি কভিডপূর্ব অবস্থায় ফিরে আসবে। এ বিষয়ে ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রুথ গ্রেগরি বলেন, ব্রিটিশ অর্থনীতি আশ্চার্যজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করছি, অক্টোবর নাগাদ কভিডপূর্ব অবস্থায় ফিরে আসবে।

এপ্রিলে দেশটিতে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট ফের চালু করায় ভোক্তা ব্যয় সাত দশমিক তিন শতাংশ বেড়েছে, যা প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।

জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ওএনএস) তথ্যে দেখা যায়, মাসিক ভিত্তিতে জুন মাসে আগের মাসের থেকে সার্বিক প্রবৃদ্ধি শূন্য আট শতাংশ বেড়েছে। আর সেবা খাতে জুনে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি (এক দশমিক পাঁচ শতাংশ) হয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্যসেবা বেশি অবদান রেখেছে।

খাদ্য ও পানীয়, যেমন পাবস ও রেস্টুরেন্ট খাতে ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়েছে।

অন্যদিকে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে তেল ব্যবস্থাপনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শিল্প আউটপুট শূন্য দশমিক সাত শতংশ হ্রাস পেয়েছে, যেখানে শিল্পোৎপাদন শূন্য দশমিক দুই শতাংশ হ্রাস পেয়ে এক দশমিক তিন শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি জি ৭-এর মধ্যে সর্বোচ্চ চার দশমিক আট শতাংশ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের চার দশমিক চার, ফ্রান্সের তিন দশমিক তিন জার্মানির তিন দশমিক ছয় এবং ইতালির তিন দশমিক আট শতাংশ।