প্রতিনিধি, বাকৃবি: প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মাংস উৎপাদনকারী মুরগির জাতগুলোর প্যারেন্টগুলো সংরক্ষণ ও দেশব্যাপী পোলট্রি খামারিদের মধ্যে সম্প্রসারণে প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এ প্রকল্পের অধীনে পোলট্রি সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বাকৃবিতে। প্রকল্পটির অধীনে প্রতি বছর দুই লাখ প্যারেন্ট এবং তিন কোটি বাণিজ্যিক বাচ্চা উৎপাদন করা হবে। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন ও বাকৃবির যৌথ উদ্যোগে এই পোলট্রি সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
গতকাল বুধবার সকালে ‘বাউ-ব্রো মুরগি সংরক্ষণ, খামারি পর্যায়ে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান গবেষক এবং পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা এ তথ্য জানান। তিনি তিনি জানান, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মাংস উৎপাদনকারী মুরগির জাত (স্ট্রেইন) হিসেবে বাউ-ব্রো সাদা ও বাউ-ব্রো রঙিন নামে দুটি জাত উদ্ভাবন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে জাত দুটির মাঠপর্যায়ে কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
তিনি বলেন, প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শেষ হয়। উদ্ভাবিত জাতগুলোর মাঠপর্যায়ে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং এগুলো দেশীয় সম্পদ। জাতগুলোর ধারা অব্যাহত রাখতে এর প্যারেন্ট স্টককে সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পটির অধীনে এসব প্যারেন্ট ও বাচ্চা উৎপাদন করা হবে। এটি দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল হাসান। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।