নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৩ মাসে দেশে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৩৪০ জন। এর মধ্যে চলতি বছরেই মারা যান ৬৬ জন। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক। এসব মৃত্যু হয়েছে কৃষিজমিতে কাজ করার সময়, অথবা বৈশাখী ঝড়ে আম কুড়াতে গিয়ে। আবার বাড়ির আঙিনায় খেলার সময় এবং মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন অনেকে।
গতকাল সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ) এ তথ্য জানায়। সংগঠনটি বজ্রপাতে মৃত্যু নিয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা হয় জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং টেলিভিশনের তথ্যের ভিত্তিতে। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত মৃত্যুর তথ্য নেয়া হয় পরিসংখ্যানে।
এতে জানানো হয়, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বজ্রপাতে ৩৪০ জন মারা গেছেন। আর ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা গেছেন ২৭৪ জন। এর মধ্যে রয়েছেন ২৩৯ পুরুষ আর ৩৫ নারী। নারী ও পুরুষের মধ্যে ১২ শিশুও রয়েছে।
এসএসটিএফের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে বজ্রপাতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৫ মার্চ। এরপর থেকে ৩ মে পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৬ জন। এর মধ্যে ৬৩ পুরুষ ও তিন নারী, দুই শিশু ও চার কিশোর রয়েছেন। আহত হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে শুধু কৃষিকাজ করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। নৌকায় থাকা অবস্থায় বা মাছ ধরতে গিয়ে মারা গেছেন ১১ জন।
চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও মার্চ থেকে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়। এই মাসে মারা যান ১৫ জন। আর এপ্রিল মাসে মৃত্যু হয় ৫০ জনের। অন্যদিকে চলতি মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন একজন। এ বছর বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে সিলেটের সুনামগঞ্জে। এ জেলায় মারা গেছে সাতজন। আর সিলেট জেলায় মারা গেছে পাঁচজন।
সংগঠনের সভাপতি ড. কবিরুল বাশার ও সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সরকারের কাছে দুই দফা দাবি করেন। এর মধ্যে একটি হলো সচেতনতা বাড়াতে বজ্রপাতের বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা। আরেকটি হলো মাঠে মাঠে বজ্রনিরোধক টাওয়ার নির্মাণ ও দ্রুত বর্ধনশীল গাছ লাগানো।