বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ হয়েছে। এতে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন কমেছে ৫০ মেগাওয়াট। ১২০৯নং ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লা শেষ হওয়ায় গত সোমবার (১ জুলাই) থেকে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ করা হয়। যত্রপাতি স্থাপন করে নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন করতে দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তার কারণে আগামী দুই মাস বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩০০ মেগাওয়াট থেকে কমে উৎপাদন হবে ২৮০ মেগাওয়াট।

খনি কর্তৃপক্ষ বলছেন, খনির নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ফেইজের উত্তোলন যোগ্য কয়লা শেষ হলে, নতুন ফেজ তৈরির জন্য কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। এই কাজের ধারাবাহিকতায় ১২০৯নং ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লা শেষ হওয়ায়, কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। নতুন ১৪১৪নং ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করে চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আবারও উৎপাদন শুরু করা হবে। এছাড়া বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য এক লাখ ৭৫ হাজার টন কয়লা আপৎকালীন মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন খনি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক জানায়, চলতি বছরের আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন, কিন্তু আপৎকালনী মজুত এক লাখ ৭৫ হাজার টন হওয়ায়, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪৫ থেকে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন কমিয়েছেন। তিনি বলেন ১নং ইউনিটে ৮০ মেগাওয়াট থেকে কমিয়ে ৬০-৬৫ মেগাওয়াট ও ৩নং ইউনিটে ২৫০ মেগাওয়াট থেকে কমিয়ে ২২০ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হচ্ছে।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, খনির নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে একটি ফেইজ থেকে নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে দুই মাস সময় প্রয়োজন হয়, এজন্য কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ থাকে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষ ভাগ থেকে নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে।