Print Date & Time : 14 August 2025 Thursday 9:29 am

বন্দুক হামলার বিরুদ্ধে বেলগ্রেডে বিক্ষোভ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পরপর দুটি বন্দুক হামলার পর সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছেন হাজারো মানুষ। সমালোচকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এমন সহিংসতার সংস্কৃতি গড়ে উঠছে দেশটিতে। খবর: রয়টার্স।

বেলগ্রেডে দুই দিনের বন্দুক সহিংসতায় প্রাণ গেছে ১৮ জন নাগরিকের।

দেশটিতে চলতি মাসের ৩ তারিখে একজন নিরাপত্তা প্রহরীসহ ৯ শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করে এক কিশোর। ঘটনাটির এক দিন পর বেলগ্রেডে আটজনকে গুলি করে হত্যা করে ২১ বছরের এক ব্যক্তি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুবোনার একটি পার্কে এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তর্ক করার পর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে লোকজনের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে হামলাকারী। হামলাকারী বেলগ্রেড থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি গ্রামের কাছে চলন্ত গাড়ি থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ‘বিস্তৃত অনুসন্ধানের’ পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বেলগ্রেডে বন্দুক সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন দেশটির জনগণ।

মূলত দেশটির বিরোধী দলগুলো নেতৃত্ব দিচ্ছে আন্দোলনে। তাদের মতে, দেশটির সহিংসতা প্রচারকারী সংবাদমাধ্যমকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুসিকের সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টি (এসএনএস)।

এছাড়া অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যর্থতাকেও এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।

দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছদ্মনাম ভেরা ব্যবহার করে বলেন, সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি আমি। বিভিন্ন বক্তৃতায় ও মিডিয়ায় ঢালাওভাবে প্রকাশ্যে সহিংসতা প্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন। যেভাবে দেশ চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন।

সম্প্রতি দেশটির টেলিভিশনে খুনিসহ বিভিন্ন অপরাধীদের নিয়ে রিয়েলিটি শো করা হয়। এছাড়া পুরুষরা নারীদের মারধর করছেন, এমন ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এসব ঘটনা দেশটির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আরও উসকে দিচ্ছে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট ভুসিক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাতিসøাভ গাসিক ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন আন্দোলনে অংশ নেয়া ব?্যক্তিরা।

চলতি মাসে দেশটিতে এটি তৃতীয় বড় বিক্ষোভ, যেখানে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী অংশ নিয়েছেন।