Print Date & Time : 11 August 2025 Monday 1:51 am

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

বর্তমান বাংলাদেশর গণপরিবহনের বহরে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক গণপরিবহন যার মধ্যে অন্যতম মেট্রোরেল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রাস্তায় দেখা যাচ্ছে ফিটনেসবিহীন যানবাহন। যা দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলছে সাধারণ জনগণের। মধ্যবিত্ত বা নিম্ন আয়ের মানুষের যোগাযোগের ভরসার স্থল গণপরিবহন। গণপরিবহনে মেট্রোরেলের সংযুক্তি যেমন স্বস্তি দিচ্ছে ঠিক অপর দিকে গণপরিবহন এ ফিটনেসবিহীন গাড়ি এনে দিচ্ছে ভোগান্তি। ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচলের সময় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ত্রুটি এতে স্বাভাবিক গতির তুলনায় অনেক কম গতি নিয়ে যাত্রা করে। ফলে সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না অফিসগামী যাত্রীরা। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কর্মঘণ্টা।

কালো ধোঁয়া উৎপাদন করছে ফিটনেসবিহীন গাড়ি যা থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হচ্ছে। ফলস্বরূপ বায়ু এবং পরিবেশ হচ্ছে দূষিত মানুষ ভোগছে বিভিন্ন কঠিন রোগে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন এর জন্যে রাস্তায় বাড়ছে দুর্ঘটনা। আমরা লক্ষ করেছি, কোথাও কোনো দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হলেই জানা যায়, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির ফিটনেস ছিল না, সড়কে চলাচলের অনুমতি ছিল না। আবার লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি সড়কে দাবড়ে বেড়ায়, যেগুলো দেখলে মনে হয় ফিটনেস আছে কিন্তু সরেজমিনে দেখতে গেলে দেখা যাচ্ছে রুট পারমিট বা ফিটনেস কোনোটাই নেই।

বিআরটিএ বার বার ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধ করার ঘোষণা দিলেও আইনের প্রয়োগ না থাকায় কালোশক্তির প্রভাবে ঘোষণা দিয়েও বন্ধ করতে পারছে না। আইনের প্রয়োগে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে রুট পারিমট, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করা সম্ভব হবে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করতে সরকারকে নিতে হব কার্যকরী পদক্ষেপ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং গণপরিবহন আধুনিকায়ন করা। এতে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি পাবে সেই সঙ্গে যাত্রা হবে আরামদায়ক ও নিরাপদ।

তাহমিদুল হাসান আকন্দ
শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ
সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা