জুনায়েদ আহম্মেদ, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় সড়ক ও জনপথের আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টানা প্রায় ১৫ দিনের বন্যা, বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে সড়কের প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সড়ক ও জনপদ বিভাগ, লক্ষ্মীপুর। সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে মানুষের কর্মঘন্টা। এতে করে অনেকটা সীমিত হয়ে পড়েছে যানচলাচল, বাড়ছে জনভোগান্তি।
বন্যার পানি ও বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে থাকা ১৮ টি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিটুমিন উঠে কোথাও কোথাও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে লক্ষ্মীপুর থেকে প্রায় একুশটি জেলার সাথে যান চলাচল অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়েছে। শুধু যাত্রীবাহী বাসই নয়, পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা জরুরী সেবা সার্ভিসের গাড়িগুলো নানা ভোগান্তি নিয়ে সীমিত পরিসরে চলাচল করছে। এ সড়কগুলোতে ক্ষুদ্র সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
লক্ষ্মীপুর শহর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কটির জেলার সীমান্তবর্তী থানা চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও বিটুমিন ওঠে সড়কে কণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। একই দশা লক্ষ্মীপুর থেকে রায়পুর চাঁদপুর পর্যন্ত সড়কটিরও।
লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা, ফেনী ও চট্টগ্রামগামী কয়েকজন যাত্রী সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা যেতে চার ঘন্টা সময় লাগলেও সড়কের বেহাল দশার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা সময় লেগেছে। একই কথা বলেন অন্য গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীরাও। তাদের দাবি, বন্যার পানিতে সড়কের বেহাল দশার কারণে তাদের অর্থ, সময় ও ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী কয়েকটি যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের মালিক ও চালকরা জানান, এবারের বন্যা স্মরণকালের ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যা। চারিদিকে যে পরিমাণ পানি আঞ্চলিক মূল সড়কটিও পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েকদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও পানির কারণে সড়কের বিটুমিন উঠে যায়। এতে সড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। পানির নিচে এসব গর্ত দেখতে না পেয়ে অনেক গাড়ি সড়কেই বিকল হয়ে পড়ে। এতে করে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে গিয়ে সড়কেই নষ্ট হচ্ছে কর্ম ঘন্টা, পণ্যবাহী ট্রাকে নষ্ট হচ্ছে পণ্য।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, বন্যার কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়কগুলোর কিছু অংশ ক্ষুদ্র সংস্কার করা হলেও স্থায়ী মেরামতের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সড়কটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এ পথে যাতায়াতকারীরা।