বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত ভ্যানকুভার

শেয়ার বিজ ডেস্ক:ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের পর বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্য। রাজ্যের একাধিক এলাকায় ভূমিধসে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ বহু স্থাপনা। ভূমিধসে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। ভারী বৃষ্টিতে রেললাইন তলিয়ে যাওয়ায় কানাডার ভ্যানকুভার রাজ্যের সঙ্গে রেলসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। খবর: বিবিসি, গার্ডিয়ান, রয়টার্স।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার কানাডার ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, সড়কের মাটি ধসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা জানান, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দুজন। নিন্মাঞ্চলের প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

ঝড়-বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নগরী ভ্যানকুভার। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে নগরীর রাস্তাঘাট। যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকায়।

ভ্যানকুভার বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্যার কারণে রেল যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে কানাডার বড় দুটি কোম্পানি কানাডিয়ান প্যাসিফিক রেল ও কানাডিয়ান ন্যাশনাল রেলওয়ে। স্থানীয় সময় সোমবার বন্যাকবলিত ব্রিটিশ কলম্বিয়া রাজ্য থেকে হেলিকপ্টারযোগে আটকা পড়া অন্তত ৩০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, কানাডায় আঘাতহানা প্রাণঘাতী এই ঘূর্ণিঝড় শতাব্দীতে একবারই এ ধরনের আবহাওয়াজনিত ঘটনা ঘটে। এ ঝড়ে ভ্যানকুভার শহর ঘিরে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

নিহত নারীর মরদেহ পাওয়া যায় ভ্যানকুভার থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে লিলোয়েত শহরের কাছে। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) সার্জেন্ট জ্যানেলে সোহিয়েত জানিয়েছেন, ভূমিধসের কবলে পড়া গাড়ির সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি উদ্ধারকারীরা।

গাড়িচালব ক্যাথি রেনি জানিয়েছেন তিনি লিলোয়েতের দক্ষিণে আটকে পড়া গাড়ির ওপর ভূমিধস হতে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের গাড়িতে ফিরতে ফিরতে দেখতে পেলাম সামনে থাকা মানুষগুলো চিল্লাতে চিল্লাতে দৌড়াচ্ছে। মনে হচ্ছিল যেন সুনামি আসছে।’

প্রাদেশিক পরিবহনমন্ত্রী রব ফ্লেমিং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটা ছিল শতাব্দীর ভয়াবহ ঝড়। ভারী বৃষ্টির পর ব্রিটিশ কলম্বিয়ার হাজার হাজার বাড়ি খালি করে দেয়া হয়।

সোমবারের ঝড়ের পর ভ্যানকুভারে মঙ্গলবার তুষারপাত হয়েছে। বরফ শীতল বন্যার পানিতে গাড়ি ভাসতে দেখা গেছে।