প্রতিনিধি, বরিশাল: বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে কভিডে চারজন ও উপসর্গ নিয়ে ছয়জন মারা গেছেন। একই সময় কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩২২ জন। এ সময়ের মধ্যে শনাক্তের তিনগুণ ৯৯১ জন সুস্থ হয়েছেন।
গতকাল বুধবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের কভিড আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ছয়জন ও কভিড ওয়ার্ডে আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কভিডে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
কভিডে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ছয়জনের মধ্যে বরিশাল জেলায় তিন ও বরগুনায় একজন। সব মিলে বিভাগে কভিডে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১০ জন।
বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ৯১৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২৭ হাজার ২৩৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ১৪৬ জন নিয়ে মোট ১৭ হাজার ২০৯, পটুয়াখালীতে নতুন ৪৩ জন নিয়ে মোট পাঁচ হাজার ৭৬০, ভোলায় নতুন ৭২ জনসহ মোট পাঁচ হাজার ৯০৩, পিরোজপুরে নতুন ২২ জনসহ মোট পঁাঁচ হাজার ৩৪, বরগুনায় নতুন ১৮ জনসহ মোট তিন হাজার ৫৬৩ ও ঝালকাঠিতে নতুন ২১ জন নিয়ে মোট চার হাজার ৪৫০ জন।
এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু এই হাসপাতালের কভিড আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ছয়জন ও কভিড ওয়ার্ডে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৯২৫ জন এবং কভিড ওয়ার্ডে কভিডে আক্রান্ত হয়ে ৩৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৯২৫ জনের মধ্যে ৭০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও কর্তৃপক্ষের হাতে পাওয়া যায়নি।
হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৯ জন ও কভিড ওয়ার্ডে ১২ জন ভর্তি হয়েছেন। কভিড ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৬৯ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৬৬ জন কভিড ওয়ার্ডে এবং ১০৩ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৯ জন কভিড পরীক্ষা করান। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ।