বসুন্ধরা পেপারের আইপিও এবং ফার্স্ট সিকিউরিটির বন্ড অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক বিডিং সম্পাদনের মাধ্যমে ইস্যু মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৪৫০ কোটি টাকার মুদারাবা সাব অর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়ার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হারুন সিকিউরিটিজকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে সংস্থাটি।

গতকাল রোববার বিএসইসির ৬১০তম কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের কাট-অফ প্রাইস তথা যে দামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেই দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা শেষ হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফের অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি পেলে শেয়ার আবেদন ও চাঁদা গ্রহণের সময়সূচি প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

পুঁজিবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। বাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ব্যাংকঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, শেয়ারপ্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভসহ) ৩০ টাকা ৪৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভ ছাড়া) ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি আয় এক টাকা ৪৬ পয়সা।

বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে ট্রিপল এ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

এদিকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ৪৫০ কোটি টাকার সাব অর্ডিনেটেড বন্ড অনুমোদন করেছে কমিশন। বন্ডটির বৈশিষ্ট্য হবে সম্পূর্ণ অবসায়নযোগ্য। এটি শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য হবে না। বন্ডটি সাত বছরে পুরোপুরি বিলুপ্তি হবে, যা শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো, ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো, করপোরেট হাউজ, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো, মিউচুয়াল ফান্ড এবং যে কোনো যোগ্য সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রাইভেট  প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কিনতে পারবে।

উত্তোলিত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি টায়ার-টু এর শর্তপূরণ করবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি দায়িত্ব পালন করছে।

হারুন সিকিউরিটিজকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড পরিদর্শন দলের প্রতিবেদনে হারুন সিকিউরিটিজের কনসোলেডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্টে ঘাটতি পরিলক্ষিত হওয়ায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর বিধিমালা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া হারুন সিকিউরিটিজ তাদের গ্রাহকদের নগদ হিসেবে ঋণ সুবিধা প্রদান করে মার্জিন রুলস ১৯৯৯ লঙ্ঘন করেছে। এসব সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে কমিশন হারুন সিকিউরিটিজকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে।