Print Date & Time : 27 August 2025 Wednesday 6:02 am

”বাংলাদেশকে চাপে রাখতে ভারতের নতুন কৌশল ‘পুশইন”

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারত বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির নতুন কৌশল হিসেবে ‘পুশইন’ শুরু করেছে।বিএসএফ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলাভাষীদের ধরে সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে। ৪ঠা মে থেকে ১৫ই মে পর্যন্ত ৩৭০ জনকে পুশইন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকও রয়েছে।

এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পরিপন্থী বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বিজিবি জানিয়েছে, কিছু রোহিঙ্গা যারা ভারতে ইউএনএইচসিআর-এ নিবন্ধিত ছিল, তাদেরও বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভারত সরকার এই পদক্ষেপকে “ফেরত পাঠানো” বলে দাবি করলেও বিশ্লেষকদের মতে, এটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল।

সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ ও জাতিসংঘে বিষয়টি তোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ভারতের উদ্দেশ্য সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি করা। আটকরা বলছে, তাদের চোখ বেঁধে দূরবর্তী অঞ্চল থেকে এনে নির্জন সীমান্তে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

বিজিবি আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি এবং বৈধ প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানো জরুরি।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মালয়েশিয়া শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শ্রমিক নেবে।

এক বছর বন্ধ থাকার পর দেশটির শ্রমবাজার আবার চালু হতে যাচ্ছে, যেখানে এক থেকে দেড় লাখ শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদলের প্রধান অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

তিনি জানান, সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ দিতে বাংলাদেশ অনুরোধ জানিয়েছে, যা মালয়েশিয়া গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।

২০২৪ সালের শুরুতে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে বর্তমানে দেশটি পুনরায় বাজার খুলতে রাজি হয়েছে এবং ২১ থেকে ২২শে মে ঢাকায় যৌথ কারিগরি সভার প্রস্তাব দিয়েছে।

এছাড়া ২০২৩ সালে যেতে না পারা প্রায় ১৭ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রথম দফায় সাত হাজার ৯২৬ জনকে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

কর্মীদের মাল্টিপল ভিসা ও অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়া ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

অভিবাসন খাতে গত বছর কিছুটা ধাক্কা এলেও নতুন উদ্যোগে আবার গতি ফিরতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় গেছেন প্রায় ১৩ লাখ বাংলাদেশি, যার মধ্যে ২০২৩ সালে গিয়েছে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন লাখ।

খবর বিবিসি বাংলা।