Print Date & Time : 6 September 2025 Saturday 3:11 pm

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এ অঞ্চলের জনগণের প্রেরণাশক্তি: রাষ্ট্রপতি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এ অঞ্চলের জনগণের প্রেরণাশক্তি। আজ ৮ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। খবর: বাসস।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক বিস্ময়কর প্রতিভা। বাংলা সাহিত্যকে তিনি তুলে ধরেছেন বিশ্বপরিমণ্ডলে। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিনাট্যকার, প্রবন্ধকার। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি। সাহিত্যের মধ্য দিয়ে তিনি মানবতার জয়গান করেছেন। মনুষ্যত্বের বিকাশ ও মানবমুক্তি ছিল তার জীবনবোধের প্রধানতম দিক। শুধু সাহিত্যসাধনা নয়, পূর্ববঙ্গের জমিদারি পরিচালনার পাশাপাশি দরিদ্র প্রজাসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি ও মানবিক বিকাশের জন্য তিনি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এসব প্রয়াসের মধ্যে তার মানবহিতৈষী মন ও জনকল্যাণ চেতনার গভীর পরিচয় মেলে।

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ বহুমুখী অবদান রেখে গেছেন। পূর্ববঙ্গের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের স্থাপিত হয়েছিল গভীর সম্পর্ক। এখনকার দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে তার মাঝে মানবসমাজ সম্পর্কে নতুন উপলব্ধি জন্মে ছিল। এ উপলব্ধি তার সাহিত্যে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এ জন্য পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। লালন ফকিরের গান তাকে পরিণত করেছে রবীন্দ্রবাউলে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ এবং ধর্ম-বর্ণ-বিত্ত-লিঙ্গ নির্বিশেষে সর্বমানবের মুক্তির চেতনা রবীন্দ্রনাথকে অনন্য উচ্চতা দান করেছে।

তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বাঙালির অমৃতসন্তান। তার গান বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উম্মেষ এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আমাদের প্রেরণাশক্তি। তার গান, সাহিত্য ও কর্মচেতনা বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। পাকিস্তানবাদী সংস্কৃতির বিপরীতে রবীন্দ্রসাহিত্য ছিল আমাদের প্রধান অবলম্বন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে গত দুই বছর রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা সম্ভব হয়নি। এবার সাড়ম্বরে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে। ‘চির নূতনেরে দিল ডাক, পঁচিশে বৈশাখ’ বাঙালির অন্তরকে ছুঁয়ে যাকÑএ আমার উদাত্ত আহ্বান।’