শেয়ার বিজ ডেস্ক: জার্মান ফেডারেল পররাষ্ট্র দপ্তরের সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বিপদাপন্ন স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে আরও প্রসারিত করবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। পাশাপাশি কক্সবাজারে অসুস্থ ভ্রমণকারীদের চিহ্নিতকরণ, পরীক্ষা এবং অন্য কোথাও নিয়ে যেতে প্রবেশ পথের (পিওই) সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক এ সংস্থা। এজন্য কভিড-১৯ মোকাবিলায় আইওএমকে প্রায় ২০ লাখ ইউরো দিয়েছে জার্মান সরকার। গতকাল আইওএম বাংলাদেশ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জনানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির এই উদার অর্থায়নের মাধ্যমে আইওএম তিনটি পৃথকীকরণ ও চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণ করবে, ১০০টি মধ্যবর্তীকালীন আশ্রয়কেন্দ্রকে নতুন করে স্বল্প ঝুঁকি সম্পন্ন কেসের জন্য কোয়ারেন্টাইন এবং পৃথকীকরণ কেন্দ্রে পরিণত করবে, ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সুবিধার্থে কাজের বিনিময়ে অর্থ (ক্যাশ ফর ওয়ার্ক) প্রকল্পকে সহায়তা জোরদার করবে। এছাড়া তিনটি অ্যাম্বুলেন্স জীবাণুমুক্তকরণ স্থান তৈরি, অ্যাম্বুলেন্স প্রেরণ সমন্বয়, শরণার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যে কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ে কাজ করা স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদানেও কাজ করবে আইওএম।
এছাড়া এ অর্থায়ন দেশের প্রবেশপথগুলোয় বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রমকেও শক্তিশালী করবে, যার মধ্যে রয়েছেÑঅসুস্থ ভ্রমণকারীদের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পিওই কর্মীদের প্রশিক্ষণ, কক্সবাজার বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং এবং পৃথকীকরণ সুবিধা স্থাপন, পিওই’র সম্মুখসারীর কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষাসরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় উপাদান প্রদান এবং পিওই কর্তৃপক্ষদের নিয়ে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সিস অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন (পিএইচইআইসি) বিষয়ক দেশব্যাপী সম্মেলন আয়োজনে সহায়তা প্রদান।
এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটারফারেন হোল্টজ বলেন, ‘বাংলাদেশে আইওএম’র কভিড-১৯-এর সাড়াদান কার্যক্রমকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। করোনাভাইরাস সম্প্রসারণ প্রতিরোধ এবং এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরও প্রসারিত করা জরুরি।’
আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, ‘আমরা জার্মান সরকারের প্রতি এই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ। তাদের এই সহায়তার ফলে আমরা বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের, যারা পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, তাদের জরুরি স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানে কাজ করে যেতে সক্ষম হবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা প্রবেশপথগুলোয় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান রাখতে পারব, যাতে করে কর্মকর্তারা অসুস্থ ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে যেতে না পারে সে জন্য যথাযথ উদ্যোগ নিতে পারে। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশের জন্য সংবরণ পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’