নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের বিপুল সাফল্য এবং আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, শান্তি ও উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের নানা সংস্থার প্রধান ও অন্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা।
গত শুক্রবার জেনেভা বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল উদযাপন অনুষ্ঠানে তাদের অনেকে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের এক রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করেন।
স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, অসমতা হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গাই রাইডার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক গজিও কোনজো-ইওয়েলা উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) মহাপরিচালক অ্যান্টনিও ভিটোরিনো ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিও) মহাসচিব মার্টিন পুটওয়ারে কেচুনগং। এছাড়া আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের মহাসচিব হাওলিন ঝাও, ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের মহাপরিচালক বিশার এ হুসেনের প্রতিনিধি ও বিশ্ব মেধা সংস্থার মহাপরিচালক ডারেনটাং উপস্থিত ছিলেন। আঙ্কটাডের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ইজাবেল ডুরান্ট, সাউথ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক কার্লোস কোরিয়াসহ উপস্থিত বক্তারা দারিদ্র্য বিমোচন, শান্তি, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, অভিবাসন, শ্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তাছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের আসন্ন স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয়ে বাংলাদেশের উদারতার কথা উল্লেখ করেন।