নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও মুদ্রানীতির অবস্থান ঠিক আছে। তাই এখনই নীতি সুদহার বা পলিসি রেট বাড়নোর প্রয়োজন নেই। গত ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণীতে এ মতামত দেয়া হয়। এ ছাড়া সভায় তারল্য, সুদহার ও বিনিময় হারের ওঠানামা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
দেড় বছরের বেশি সময় ধরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের ওপরে। নীতি সুদহার বাড়িয়েও তার রাশ টেনে ধরা সম্ভব হয়নি। বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে। গত অক্টোবরে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার সহনীয় মাত্রায় নেমে আসবে। বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম যেভাবে কমছে, তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এমনটা মনে করছে। সেই সঙ্গে মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হওয়া এবং আমান ধানের ভালো ফলন ও শীত মৌসুমের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির সাপেক্ষে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে তারা মনে করছে।
মুদ্রানীতি কমিটি উৎপাদনশীল খাতে বিশেষ করে কৃষি খাত এবং কটেজ, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পরিষেবার সরবরাহ বাড়ানোর জন্য ঋণ বিতরণে মনোযোগী থাকার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ব্যাংককে। এছাড়া আমানতের সুদহার বৃদ্ধির পরও ব্যাংক আমানতের প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতির কারণ খুঁজে করতে বলা হয়।
মুদ্রানীতি কমিটি বলছে, ক্রলিং পেগ বিনিময় হার পদ্ধতি থেকে সরে সম্পূর্ণ বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করার জন্য। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থার একটি পর্যালোচনা করে এটির আধুনিকীকরণ করা এবং আমদানির ওপর নিষেধজ্ঞা তুলে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।