বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে উড়ছে পাউন্ড!

ক্রীড়া ডেস্ক: বার্মিংহামে ভারতীদের বসবাস অন্য দেশের নাগরিকের তুলনায় বেশি। যে কারণে মঙ্গলবার এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ড আকাশি জার্সিধারী সমর্থকদের দখলে চলে যেতে পারে। এ ধারণা বেশ আগে থেকেই রয়েছে বাংলাদেশি সমর্থকদের। তাইতো বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, টিকিট নিয়ে দেনদরবার ততই বাড়ছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রবাসী বাঙালিদের যারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি, তারা এখন পকেট ভারি করে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। যে কোনো মূল্যে তাদের চাই টিকিট। এজন্য ৬০ পাউন্ডের টিকিট কালোবাজারে ২০০ পাউন্ডে কিনেও আনন্দে আত্মহারা অনেকে!
মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দেখতে গোল্ড, প্লাটিনাম ক্যাটেগরির টিকিটের দাম আরও চড়া। কালোবাজারিদের কাছ থেকে এ ক্যাটেগরির টিকিট নিতে টাইগার ভক্তদের গুনতে হচ্ছে ৩০০ পাউন্ডের কাছাকাছি।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট অনলাইনে মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেয়েছিল। যার দুই-তৃতীয়াংশ ভারতীয় সমর্থকরা নিয়েছেন দখলে। শেষবেলায় খেলা দেখার তাড়নায় বাংলাদেশি দর্শকের রাতের ঘুম হারাম। পাউন্ড আছে কিন্তু টিকিট নেই! নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়ে কেউ কেউ ক্রিকেটারদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন উপায় না দেখে।
গত পরশু মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত তার আত্মীয়-স্বজনদের অনেক কষ্টে চারটি টিকিট সংগ্রহ করে দিয়েছেন। অন্য ক্রিকেটারদের কাছেও আছে টিকিটের এমন চাহিদাপত্র।
আগের সব ম্যাচের মতো এজবাস্টনে টাইগারদের সমর্থন পাবেন না মাশরাফিরা। ব্যাপারটি আগেই বুঝেছেন তারা। তবে লাল-সবুজ ভক্তরা চেষ্টা করছেন চড়া মূল্য দিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের কাছ থেকে টিকিট নিজেদের দখলে নিতে।
মিরপুর, চট্টগ্রাম, সিলেটের দর্শকের সঙ্গে প্রবাসী দর্শকের কিছুটা পার্থক্য আছে। ৮ হাজার মাইল দূরে থাকেন বলে দেশের জন্য অন্যরকম টানও অনুভব করেন তারা। ইংল্যান্ডে তারা খেলোয়াড়দের দাওয়াত করে খাওয়াতে চান, দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে দেখাতে চান, করতে চান নানা আয়োজন।
টাইগারদের একটু কাছাকাছি থাকতে হাজার পাউন্ড খরচ করে অনেকেই উঠেছেন বাংলাদেশের টিম হোটেলে। তাদের মূল উদ্দেশ্য সাকিব-মাশরাফিদের সমর্থন দেওয়া। এজন্য পাউন্ড কোনো ব্যাপারই মনে হচ্ছে না তাদের!