বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপারের ঋণমান প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘?ট্রিপল বি’ আর স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ ঋণমান দিয়েছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড।

উল্লেখ্য, কাগজ ও মুদ্রণ খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ারসংখ্যা ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৫ দশমিক ৯১ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের সুপারিশ করেছিল কোম্পানিটির পর্ষদ। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। আর ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশে অসম্মতি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪৪ টাকা ৮৮ পয়সায়, আগের হিসাববছর শেষে যা ছিল ৪০ টাকা ৪৩ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৪৩ পয়সা।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৭২ পয়সা। আর সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৬৯ পয়সায়।

এদিকে সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৭ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৭৮ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৮টি শেয়ার মোট ৫ হাজার ২৫৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২০ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।