বাইরের তিন বিশেষজ্ঞ যুক্ত করে মুদ্রানীতির কমিটি পুনর্গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি পলিসি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব কর্মকর্তাদের বাইরে তিনজন বিশেষজ্ঞকে যুক্ত করা হয়েছে। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর আগে গত ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সভায় পুনর্গঠিত কমিটির অনুমোদন করা হয়।

৭ সদস্যবিশিস্ট এই কমিটিতে আগের মতো সভাপতি হিসেবে আছেন গভর্নর। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে আরও ৩ জনকে। তারা হলেনÑমুদ্রানীতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর ও নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ।

বাইরের সদ্য হিসেবে রাখা হয়েছে অর্থনীতিবিদ ড. সাদিক আহমেদকে (কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ কর্তৃক মনোনীত)। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালককে মুদ্রানীতি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে মুদ্রানীতি বিভাগের পরিচালককে। তবে তিনি সরাসরি কমিটির সদস্য বলে গণ্য হবেন না।

এর আগে মুদ্রানীতি প্রণয়নে ৯ সদস্যের কমিটি ছিল। ওই কমিটিরও প্রধান ছিলেন গভর্নর।

বাকি ৮ সদস্যের মধ্যে ছিলেন চার ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদ, বিএফআইইউ প্রধান, মুদ্রানীতি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অনেক দেশে মুদ্রানীতি কমিটিতে বাইরের বিশেষজ্ঞ রাখা হয়। এতে মুদ্রানীতির প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সহজ হয়। এ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকও মুদ্রানীতি কমিটিতে বাইরের বিশেষজ্ঞ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রানীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, যাতে কর্মসংস্থান হয়। এছাড়া মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখাও মুদ্রানীতির অন্যতম কাজ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে গত অর্থবছর থেকে আবার বছরে দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।