বাঙালির মুক্তির সনদ বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা

কাজী সালমা সুলতানা: আজ ৭ জুন। ১৯৬৬ সালের এই দিনে বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলনের সূচনা হয়।

বাঙালির মুক্তি আন্দোলন সংগ্রামের দীর্ঘ পথযাত্রায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শরিফ কমিশন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ছেষট্টির ঐতিহাসিক ছয় দফা এরই ধারাবাহিকতায় উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন ও দীর্ঘ সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, আন্দোলন একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির জাতিরাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের মধ্য দিয়ে সফলতা পায়।

বাঙালির দীর্ঘ এই আন্দোলনের ষাটের দশকের পর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের একক নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। ষাটের দশকটাই ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশের সময়। পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে ১৯৬০ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ‘পূর্ব বাংলা মুক্তিফ্রন্ট’ নামে একটি গোপন সংগঠন গঠন করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য চিত্তরঞ্জন সূতার ও রুহুল কুদ্দুসকে নিয়ে গোপনে কাজ শুরু করেন।

এদিকে ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পরে তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের গদি যখন নড়বড়ে, তখনই পশ্চিম পাকিস্তানের পাঞ্জাবি নেতারা পরিস্থিতি আলোচনা এবং আইয়ুবের কাছ থেকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় ছাড়াও একটি জাতীয় সরকার গঠনের দাবিতে বিরোধীদলীয় নেতাদের উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সব বিরোধী দলের সমন্বয়ে নিখিল পাকিস্তান জাতীয় কনফারেন্স আহ্বান জানান। লাহোরের বৈঠকে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেই শেখ মুজিব তার অনুগত ছাত্রলীগকে দেয়া গোপন নির্দেশ মোতাবেক ছয় দফার আদলে একই ধরনের দাবি-দাওয়া সংবলিত একটি প্রস্তাব পাস করে। ছাত্রলীগের এই সভায় ‘পাকিস্তানের আঞ্চলিক বৈষম্য’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ পাঠ ও আলোচনায় সুস্পষ্ট হয়ে উঠে, আঞ্চলিক বৈষম্যগুলো দরকষাকষি করে দূর করা যাবে না। এ জন্য পূর্ব পাকিস্তানিদের দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই নিবন্ধটি তখন পুস্তক আকারেও প্রকাশিত হয়।

এ সময় সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ স্বাধীন পূর্ববাংলার নিউক্লিয়াসের সদস্য হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৬৬ সালের আগেই অর্থাৎ শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা দেওয়ার আগেই গোপন এই সংগঠনের কার্যক্রম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে যায়।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি লাহোরে পৌঁছান। পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬ দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু আয়োজক পক্ষ ওই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর দাবির প্রতি গুরুত্ব না দিলে তিনি ৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন অংশগ্রহণ বর্জন করেন।

বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফা ঘোষণা দিলে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। সেদিন ৬ দফা শুধু প্রত্যাখ্যাত হয়নি, পরদিন করাচির ইংরেজি ডন ও উর্দু পত্রিকা জংসহ পশ্চিম পাকিস্তান ও ঢাকার পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খানের ‘পয়গাম’সহ অন্যান্য সরকারি পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার ব্যানারে হেডলাইনে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দেওয়া হয়। তৎকালীন পাকিস্তানির সরকারি প্রচারযন্ত্র শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের সম্মানহানিতে নেমে পড়ে ও এদের রাষ্ট্রের শত্রু বলে চিহ্নিত করে। ১৯৬৮ সালের বাজেট অধিবেশনে (যখন বঙ্গবন্ধু আগরতলা মামলার আসামি) ন্যাপদলীয় সংসদ সদস্য যাদু মিয়া (জিয়ার সিনিয়র মন্ত্রী) জাতীয় পরিষদে বলেন, আমি ক্ষমতায় থাকলে ৬ দফা দাবি তোলার অপরাধে শেখ মুজিবকে ফাঁসি দিতাম।

১৯৬৬ সালের ছয় দফায় বলা হয় :-

প্রস্তাব ১ : শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি:

লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে;

প্রস্তাব ২ : কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা:

কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবেÑযথা দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সব বিষয়ে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুালার ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।

প্রস্তাব  ৩ : মুদ্রা বা অর্থ-সম্বন্ধীয় ক্ষমতা:

মুদ্রার ব্যাপারে নি¤œলিখিত দুটির যে কোনো একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারে:

(ক) সমগ্র দেশের জন্য দুটি পৃথক, অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে।

অথবা

(খ) বর্তমান নিয়েমে গোটা সমগ্র দেশের জন্য কেবল একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে করে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভেরও পত্তন করতে হবে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।

প্রস্তাব  ৪ : রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা:

ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলোর কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনোরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গ-রাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর সব রকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।

প্রস্তাব  ৫ : বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা:

(ক) ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে।

(খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলোর এখতিয়ারাধীন থাকবে।

(গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কেনো হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোই মিটাবে।

(ঘ) অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোনো রকম বাধা-নিষেধ থাকবে না।

(ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।

প্রস্তাব ৬ : আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা:

আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলোকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা ঘোষণা করেন তখন তার পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক শুরু হয়। ছয় দফা ঘোষণা করা হলে বাঙালির স্বাধিকার বিষয়টা সামনে চলে আসে এবং এটাই ছিল স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রাথমিক ধাপ। তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ, আব্দুস সালাম খান, কুমিল্লার আব্দুর রহমান ও রওশন আলীসহ প্রধান নেতাদের বিরাট এক অংশ ছয় দফার বিরোধিতা করেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও ছয় দফা নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। দলের পশ্চিম পাকিস্তানি নেতারা ছিলেন চরমভাবে ছয় দফাবিরোধী এবং এই বিরোধিতা এতই প্রকট হয় যে দলের মধ্যেই ভাঙন শুরু হয়।

নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ খানের নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানি আওয়ামী লীগের সকল নেতা এবং পূর্ব পাকিস্তানের ৮ দফা পন্থি আব্দুস সালাম খানের মতো অনেক প্রভাবশালী নেতা দল থেকে বেরিয়ে ৬ দফার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। যারা মনে করতেন ৬ দফাই শেষ কথা নয়। ১৯৬৭ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ ৬ দফা পন্থি ও ৮ দফা পন্থিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। যদিও ৮ দফা পন্থিদের সে সময়ের মুক্তিকামী জনসাধারণ গ্রহণ করেনি।

আওয়ামী লীগের মুখপত্র বলে বিবেচিত ইত্তেফাক পত্রিকাও প্রথম দিকে ছয় দফাকে সমর্থন দেয়নি। একমাত্র আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ‘আওয়াজ’ নামক সান্ধ্যকালীন পত্রিকাটি প্রস্তাবটি প্রথম প্রকাশ করে। পরে জনমত ছয় দফার পক্ষে আসলে ইত্তেফাক ছয় দফাকে সমর্থন দেয়। এই ছয় দফাকে করে সর্বপ্রথম বাঙালি জাতির বৃহৎ ঐক্য গড়ে ওঠে।

ছয় দফা ঘোষণার ফলে বাঙালির স্বাধিকার বিষয়টি সামনে চলে আসে। ছয় দফার ঘোষণা জাতীয় নেতাদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এ সময় সকল বিতর্ককে পাস কাটিয়ে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম বিবৃতি দিয়ে ছয় দফার প্রতি সমর্থন জানান এবং তার নেতৃত্বে ঢাকার রাজপথে বিশাল মিছিল হয়।

ছয় দফার প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রকাশ্যে বাহাসে অবতীর্ণ হওয়ার ঘোষণা দিলে শেখ মুজিব সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। কিন্তু ভুট্টো দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে ঢাকায় এসেও বাহাসে অবতীর্ণ হয়নি। এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি বাকী এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, চট্টগ্রামের এমএ আজিজ, আব্দুল্লাহ হারুন ও এমএ হান্নান ছয় দফা সমর্থনে বিবৃতি দেন। স্বাধীন বাংলা রেডিক্যাল গ্রুপ নামে পরিচিত এই গোপন সংগঠনের সব কর্মীই ছয় দফার পক্ষে জনগণের সমর্থন আদায়, প্রচার অভিযান ও সাংগঠনিক কার্যক্রমকে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যায়।

বাংলাদেশের জন্য এই আন্দোলন এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, একে ম্যাগনা কার্টা বা বাঙালির মুক্তির সনদও বলা হয়। ছয় দফা দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণেরই দীর্ঘকালের দাবি, আর তাদের নেতাদের অঙ্গীকার। তিনি ঢাকায় ফিরে একই বছরের ১৩ মার্চ ৬ দফা এবং দলের কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন।

আওয়ামী লীগ ৬ দফা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার পরে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভা থেকেই ছয় দফার আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। ২০ মার্চ নতুন কমিটির উদ্যোগে প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয় পল্টন ময়দানে। ২৩ মার্চ সভা হয় মানিকগঞ্জে। এভাবে শেখ মুজিব উল্কার মতো দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেন ছয় দফার প্রচারে এবং ৩৫ দিনে ৩২টি জনসভায় ছয় দফার পক্ষে বক্তৃতা করেন। যশোর, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানে ৬ দফার পক্ষে প্রচার কালে তিনি গ্রেপ্তার হন। ৮ মে (১৯৬৮) নারায়ণগঞ্জে জনসভা শেষেই শেখ মুজিব ও তাজউদ্দীন আহমদসহ দলের অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকেই গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারি নিপীড়ন যত বাড়তে থাকে আন্দোলন ও শেখ মুজিবের ওপর গণমানুষের সমর্থন তত বাড়তে থাকে।

ছয় দফা ঘোষণার পর থেকেই বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রধান রূপকার হিসেবে হয়ে ওঠেন শেখ মুজিব। এরই ধারাবাহিকতায় সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও যখন পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠী বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিল না তখন শেখ মুজিবের ডাকে বাঙালিদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন স্বায়ত্তশাসন নয়, চূড়ান্ত স্বাধীনতায় রূপ নেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ থেকে ৯ মাস পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ ও প্রায় ৫ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি অর্জন করে বাঙালি অর্জন করে স্বাধীনতা।

গণমাধ্যমকর্মী

salma15august@gmail.com