বাজারের ঊর্ধ্বগতিতে মূলধন নতুন উচ্চতায়  

রুবাইয়াত রিক্তা: সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন অব্যাহত গতিতে বেড়েছে। তবে বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতনের ধারাও অব্যাহত ছিল। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন চার লাখ ১৭ হাজার কোটিতে ওঠার নতুন রেকর্ড গড়ে। এছাড়া ডিএসইর সেরা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচকও নতুন উচ্চতায় দুই হাজার ২৪৪ পয়েন্টে ওঠার রেকর্ড গড়ে। অর্থাৎ গতকাল বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর দরবৃদ্ধি বাজারকে ইতিবাচক করেছে। এদিন ডিএসইর লেনদেন ১০৫ কোটি টাকা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন বেড়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে।

গতকাল ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ৩৩৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩৯ শতাংশ। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩১৫ কোটি টাকা। এ খাতে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। লেনদেন বেশি না বাড়লেও এ খাতের ৬৩ শতাংশ বা ১৯টি কোম্পানির দর বেড়েছে। একমাত্র ঢাকা ব্যাংক দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে স্থান করে নেয়। ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১৮ কোটি টাকা বা ১৪ শতাংশ লেনদেন হয়। এ খাতে লেনদেন বেড়েছে ৫৫ কোটি টাকা। এ খাতের রেকিট বেনকিজার, গ্লাক্সো স্মিথক্লাইন, বেক্সিমকো ফার্মা ও ইবনে সিনা দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। এ খাতে ৪৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১১৬ কোটি টাকা। এ খাতে লেনদেন বেড়েছে সাড়ে আট কোটি টাকা। এ খাতের ইস্টার্ন কেবল্স ও বিডি থাই দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। এ খাতে ৪৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে লেনদেন বেড়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা। এ খাতের ন্যাশনাল টি দরবৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসে।  আর্থিক খাতে লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি টাকার বেশি। এ খাতের ৫৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। গতকাল বিমা ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত ইতিবাচক ছিল। বিমা খাতে ৫১ শতাংশ ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। তবে অধিকাংশ ফান্ডের দর অপরিবর্তিত ছিল। টেলিযোগাযোগ খাতের দুই কোম্পানির দর কমেছে। বস্ত্র খাতে লেনদেন কমেছে সাড়ে তিন কোটি টাকা। গতকাল সাড়ে ৩৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়ে বাজারে নেতৃত্ব দিয়েছে সিটি ব্যাংক। এরপর জিপি প্রায় ৩২ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংক ২৬ কোটি, উত্তরা ব্যাংক সাড়ে ২৫ কোটি, ওয়াইম্যাক্স প্রায় ২৫ কোটি, ইউসিবি ২২ কোটি, এক্সিম ব্যাংক ২১ কোটি, শাহজালাল ব্যাংক ও বিবিএস কেবল্সের ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গতকাল দুর্বল কিছু কোম্পানি দরবৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান করে। জেড ক্যাটাগরির স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক সাত দশমিক ৫২ শতাংশ, কে অ্যান্ড কিউ পাঁচ দশমিক ৮৮ শতাংশ, জুট স্পিনার্স চার দশমিক ৮৬ শতাংশ, এসপি সিরামিকস চার দশমিক ৬৭ শতাংশ ও বিডি ওয়েল্ডিং চার দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে।