বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে, বিজ্ঞানের প্রতিটি রহস্যই যেন একটি বীজ। বীজের অভ্যন্তরে যেমন সুপ্ত চারা বা সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। কৃষক মাটির বুক চিরে সেই বীজ রোপণ করে। সুনিবিড় পরিচর্যা, পরম মমতা আর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে একটি নতুন চারা গজায়। অতঃপর ফুলে-ফলে ভরে তুলে। সৃষ্টি হয় সুনির্মল ধরণী। তাই তো কবি গানে গানে বলেছেন, ‘ফিরে চল মাটির টানে, যে মাটি আঁচল পেতে চেয়ে আছে মুখের পানে।’ কবিগুরুর মতে “আমাদের দেশের চাষের জমির উপর সমস্ত পৃথিবীর জ্ঞানের আলো ফেলিবার দিন আসিয়াছে। আজ শুধু একলা চাষীর চাষ করিবার দিন নাই। আমাদের তাহার সাথে বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিককে যোগ দিতে হবে। আজ লাঙ্গলের ফলার সাথে আমাদের মাটির সংযোগ যথেষ্ট নয়। সমস্ত দেশের বুদ্ধির সঙ্গে, বিদ্যার সঙ্গে, অধ্যবসায়ের সাথে তাহার সংযোগ হওয়া চাই।” আর সেই জন্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৬ সালে পুত্র রথীন্দ্রনাথ ও বন্ধুপুত্র সন্তোষচন্দ্র মজুমদারকে কৃষিবিদ্যা ও গোপালন বিদ্যায় পড়াশোনা করতে আমেরিকার ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। এক বছর পরে ১৯০৭ সালে একই বিদ্যায় পারদর্শী হতে পাঠান জামাই নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর এই সিদ্ধান্ত দেশের কৃষি ও কৃষকের প্রতি গভীর ভালোবাসা আর দায়বোধের ইঙ্গিত বহন করে। গোটা বিষয়টি রবীন্দ্রনাথ কতটা গভীরভাবে উপলব্দি করেছেন, তা প্রকাশ পায় ১২ কার্তিক ১৩১৪ বঙ্গাব্দে জামাই নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে লিখিত এক পত্রে, যেখানে রবীন্দ্রনাথ লেখেন, ‘‘এ বৎসর তো ভারতবর্ষে একটা ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ আসন্ন হয়ে এসেছে। তোমরা দুর্ভিক্ষপীড়িত প্রজার অন্নগ্রাসের অংশ নিয়ে বিদেশে কৃষি শিখতে গেছÑফিরে এসে এই হতভাগ্যদের অন্নগ্রাস কিছু পরিমাণেও যদি বাড়িয়ে দিতে পার তাহলে এই ক্ষতি পূরণ হয়ে মনে সান্ত¡না পাব। মনে রেখো জমিদারের টাকা চাষির টাকা এবং এই চাষিরাই তোমাদের শিক্ষার ব্যয়ভার নিজেরা আধপেটা খেয়ে এবং না খেয়ে বহন করছে। এদের এই ঋণ সম্পূর্ণ শোধ করবার দায় তোমাদের উপর রইল নিজের সাংসারিক উন্নতির চেয়েও এইটেই তোমাদের প্রথম কর্তব্য হবে। আজকাল যে সমস্ত বিপ্লবের সূচনা দেখা যাচ্ছেতা নিয়ে তোমাদের ভাববার দরকার নেই, কিন্তু অনাহার থেকে দেশের লোককে যথাসম্ভব বাঁচানোই তোমাদের জীবনের ব্রত হবে এতে তোমাদের নিজেদের যদি ক্ষতি হয় তাও স্বীকার করতে হবে।”
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও তাঁর কাব্যে অতি দরদি ভাষায় বাংলার কৃষকের দুঃখ দুর্দশাকাতর জীবনের চিত্র অত্যন্ত সুনিপুণভাবে উপস্থাপন করেছেন। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সম্পাদিত বিখ্যাত ‘লাঙ্গল’ পত্রিকার মাধ্যমে বাংলার কৃষক ও হতদরিদ্র মানুষের নিদারুণ দুঃখ-দুর্দশার চিত্র জীবন ঘনিষ্ঠভাবে তুলে ধরেন। কাজী নজরুল তাঁর কবিতায় বাংলার কৃষকদের অতীত ঐতিহ্য, সচ্ছলতা ও হারানো গৌরবের কথা স্মরণ করিয়ে তাদের মধ্যে বিদ্রোহের উদ্দীপ্ত বাণী ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। “আজ জাগরে কৃষাণ, সব তো গেছে, কিসের বা আর ভয়।”
সঙ্গত কারণেই স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই সবুজ বিপ্লব আর কৃষির গুরুত্ব উঠে আসে। কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পুনঃসংস্কার, উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, উদ্যান উন্নয়ন বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, ইক্ষু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনসহ অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়। এছাড়া আধুনিক কৃষি গবেষণার ব্যবস্থা করা, কৃষিতে ভর্তুকি প্রদান, কৃষিঋণের সহজীকরণ ও সমবায় চাষ পদ্ধতির প্রচলন অন্যতম। ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরিতে কৃষিবিদদের মর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণি করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তখন দেশের দারিদ্র্যের হার ৭৫ শতাংশেরও বেশি ছিল। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আর অতি দারিদ্র্যের হার নেমেছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশে। যেভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের আগেই দারিদ্র্য হার শূন্যের কোটায় নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে দেশের অগ্রসরমান অর্থনীতিকে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের অর্থনীতি থেকে এখন মধ্যম আয়ের দেশ।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১-এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি, ৭ম পঞ্চবাষির্কী পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এবং অন্যান্য পরিকল্পনা দলিলের আলোকে সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে যে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে বাংলাদেশেও তার সূদুরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে। ভয়াবহ এই ভাইরাসের কারণে দেশে জনস্বাস্থ্য এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে। এর ফলে আমাদের কৃষি খাতও বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দেশের কৃষি ও কৃষককে রক্ষায় বর্তমানে অবশ্য বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য জিডিপির ২.৮৯ শতাংশ হিসেবে ১৬ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ হচ্ছে ১২ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা, যা জিডিপির ২.৫৮ শতাংশ। অর্থাৎ প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬.৮৩ শতাংশ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দ হচ্ছে ২ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ৩ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রেও বিগত বছরের সংশোধিত বরাদ্দের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ২৬.১৬ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে সার, বীজ, কীটনাশক আমদানিতে শূন্য শুল্ক হার অব্যাহত রাখা হয়েছে। রেয়াতি শুল্ক হারে কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানির সুবিধা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনে ব্যবহৃত ১০টি উপকরণের ওপর বিশেষ করে কৃষি যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত রোলার চেইন, বল বিয়ারিং, গিয়ার বক্স, স্টিয়ারিং, টায়ার, টিউব, চাকার যন্ত্রাংশ, গ্রেইন ড্রায়ারের ব্লোয়ারের ওপর আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ১ শতাংশে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। মৎস্য, পোলট্রি ও ডেয়ারি খাতের টেকসই উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে উক্ত খাতের খাদ্যসামগ্রী ও নানাবিধ উপকরণ আমদানিতে বিগত সময়ে প্রদত্ত রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রেখে সয়াবিন আয়েল কেক ও সয়া প্রোটিন কনসেট্রেটকেও রেয়াতি সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। সয়াবিন অয়েল কেকের আমদানি শুল্ক শতকরা ৫ ভাগ থেকে কমিয়ে শূন্য এবং সয়া প্রোটিন কনসেট্রেট আমদানিতে শুল্কহার শতকরা ১০ ভাগ থেকে কমিয়ে শূন্যতে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি উপকরণ সহায়তাপ্রাপ্ত কার্ডধারী প্রায় ২ কোটি ৮ লাখ কৃষকের উপকরণ সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণে ৩ হাজার ১৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং কৃষি ভর্তুকি ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, কৃষি পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে ৫ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া দেশীয় পেঁয়াজ উৎপাদনকারীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানির ওপর শতকরা ৫ ভাগ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারের এসব পদক্ষেপ কৃষি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদার বিপরীতে আবাদযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক জলবাযু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য জোগানের চ্যালেঞ্জ ক্রমশ নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বাংলাদেশের মোট আয়তন প্রায় ১৪.৩ মিলিয়ন হেক্টর, যার প্রায় ১৭.৫ শতাংশ জুড়ে রয়েছে বনভূমি, ২২.৭ শতাংশে রয়েছে স্থায়ী জলাধার, ঘরবাড়ি, শিল্প-কারখানা, রাস্তাঘাট ইত্যাদি এবং অবশিষ্ট ৫৯.৮ শতাংশ জমি কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশে আরও অধিক জমি কৃষিকাজের আওতায় আনার সুযোগ একেবারে নেই বললেই চলে। কৃষি জমির প্রাপ্যতা হ্রাস তথা এর অপ্রতুলতার পরিণতি হলো খাদ্যাভাব, অপুষ্টি ও দারিদ্র্য। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও ক্রমাগতভাবে কৃষি জমি হ্রাসের ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পরও এদেশে খাদ্য ঘাটতি রয়েই গেছে। প্রতি বছর ২০ থেকে ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্যের আমদানি করতে হচ্ছে বিদেশ থেকে। আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কৃষিজমি টিকিয়ে রাখা। বহু কৃষিজমি অপরিকল্পিতভাবে কলকারখানা ও শিল্পক্ষেত্রে চলে যাচ্ছে। এসব কৃষিজমি রক্ষায় গণমাধ্যম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে। এদিকে পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং সামাজিক অমর্যাদাসহ নানা কারণে পেশা বদল করছেন কৃষকরা। কৃষির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মানুষের সংখ্যাও দিন দিন কমছে। দেশে বর্তমানে ৪৮ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। অথচ একটা সময় এই হার ছিল ৮৫ শতাংশ। গত চার দশকে কৃষিতে ঘটেছে বিশাল রূপান্তর। এই সময়ে কৃষিক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে সাফল্য অর্জন করলেও কৃষকের অবহেলিত অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। বর্তমান যুগকে বলা হয় আধুনিক প্রযুক্তির যুগ। বিশ্বে প্রতিদিন নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে। কিন্তু এসব টেকনোলজি সরাসরি কৃষকের কাছে যেতে পারছে না, অথবা যাচ্ছে অনেক দেরিতে। উন্নত বিশ্বের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি আমাদের দেশে খুব একটা প্রচলন ঘটেনি। যেগুলো আছে, সেগুলো ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতি, যেমন ড্রিপ বা শ্যালো টিউবওয়েল। সেচ প্রযুক্তিতে আমরা পিছিয়ে আছি, যেমন ড্রিপ ইরিগেশন, ওয়াটার পাঞ্চ করে ভূগর্ভে ঠেলে দেওয়া, তার কোনো কিছুই আমাদের দেশে নেই। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আমাদের কৃষকরা এখনও অজ্ঞ। এদেশের কৃষকরা সাধারণত সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে থাকে। বেশিরভাগ কৃষক এখনও ফসল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে লাঙল, মই এবং গরু ইত্যাদির ওপর নির্ভরশীল। পর্যাপ্ত কৃষি জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবে তারা পিছিয়ে পড়ছে। দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও বাংলার কৃষকরা আজও সমৃদ্ধশালী হতে পারেনি। কৃষককে সম্পদশালী করতে হলে আধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। সেচ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, বাজেটে কৃষি গবেষণা ও নতুন নতুন টেকনোলজিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষককে তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য, সময়মতো সার, বীজ ও প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার বিষয়টিও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে সরকারকে। এছাড়া কৃষি খাতে অধিক পরিমাণে বিনিয়োগের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে হবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী
এসিআই এগ্রিবিজনেস