নিজস্ব প্রতিবেদক: যৌথবাহিনীর চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্টের’ মধ্যেই রাজধানীর পরিস্থিতির উন্নতি করতে অপরাধ প্রবণ এলাকায় ‘জোরদার অপারেশন’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শহরে তল্লাশিচৌকি বাড়ানোর পাশাপাশি টহল সংখ্যাও বাড়াচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া অপরাধ দমাতে ঢাকার বাইরে টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জেও টহলের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ‘আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির’ সোমবারের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ফেসবুক পেজের এক পোস্টে ওই সভায় নেয়া একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়েছে।
নয় দফা সিদ্ধান্তে বলা হয়েছেÑরাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি বাড়াতে হবে।
অপরাধ প্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে টার্গেট এলাকায় জোরদার অপারেশন পরিচালনা করা হবে; রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নৌবাহিনীর একটি অতিরিক্ত পেট্রোল এবং কিছু এলাকায় কোস্টগার্ডের একটি অতিরিক্ত পেট্রোল নিয়োজিত থাকবে; পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপকমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন বলেও জানানো হয়েছে; ডিএমপির পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয় করা হবে; যাতে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের ‘পাকড়াও’ করা যায়; ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা অবস্থান করতে পারে এমন ‘সম্ভাব্য স্থানগুলোতে’ কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হবে; ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জ এলাকায়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হবে; ৫০০ এপিবিএন সদস্য ডিএমপিতে ‘ন্যস্ত হয়ে’ পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে; থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আইনের আওতায় আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিপরীতে সত্য তথ্য প্রচারে ‘নানামুখী পদক্ষেপ’ গ্রহণের সিদ্ধান্তের বিষয়টিও জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
ওই সভায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।