চাকরির উদ্দেশ্যে গ্রাম বা এক শহর থেকে অন্য শহরে বাস করতে হচ্ছে দেশের হাজার তরুণ-তরুণী। শুধু চাকরি নয়, মাধ্যমিক লেখাপড়া শেষ করে পাবলিক বা দেশের স্বনামধন্য প্রাইভেট কলেজে পড়ালেখা করার জন্য ঢাকা শহরে স্থায়ী হতে হয় হাজারো ছাত্রছাত্রীর। নিজের জš§স্থান থেকে দূর-দূরান্তে এসে চাকরির জন্য উঠতে হয় ভাড়া বাসায়। ভার্সিটি ‘হলে’ সিট ও পরিবেশ ঠিক না থাকায় বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীকে বাসা ভাড়া করে থাকতে হয়। আয় থেকে বাসা ভাড়া, খানা খরচ সব মিলে একজন ব্যক্তির প্রতি মাসে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। পড়ালেখা করা ব্যক্তি বাড়ি থেকে বা টিউশন করে এই টাকা খরচ করে সুন্দর ভবিষ্যতের চিন্তায় থাকতে হয় শহরে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হওয়া প্রতি মাসে খরচের খাতায় এক হাজার টাকারও বেশি যোগ দিতে হচ্ছে সবাইকে। তার মধ্যে বছরের শুরুতে নতুন মাসে বাসা ভাড়া টাকা বৃদ্ধিতে মাথার ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খরচের খাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাইলেও আয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে না দেশের মানুষের। বাসা ভাড়া আইন থাকলেও প্রয়োগ কেন হচ্ছে না, তা সঠিক বলা মুশকিল। আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ নেই এই দেশে, সেটা আমাদের অজানা নয়। তবে বাসা ভাড়া এমন হুট করে বৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জন্য কাটা গায়ে নুনের ছিটার মতো পড়ে।
আইন অনুযায়ী ‘বাড়িওয়ালা যদি মানসম্মত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া ভাড়াটের কাছ থেকে আদায় করেন, তাহলে প্রথমবার অপরাধের জন্য মানসম্মত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায়কৃত টাকার দ্বিগুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং পরবর্তী প্রতিবার অপরাধের জন্য ওই অতিরিক্ত টাকার তিনগুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’ কিন্তু বাংলাদেশে নোটিশ ছাড়া ভাড়া বৃদ্ধির ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এছাড়া আইনে স্পষ্ট বলা আছে, বাসার মালিকের হয়রানি থেকে রক্ষার কথা। শহরে বাসার মালিক নিরাপত্তাকর্মীর মাধ্যমে যেভাবে হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে তা বলার ভাষা নেই। বাসায় ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বিনা নোটিশে বা দুই বছর হওয়ার আগে বাসা ভাড়া বৃদ্ধি করলে প্রত্যেক ভাড়াটিয়া আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
হামিদুর রহমান
মহাখালী, ঢাকা