নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ৩৮টি কারাগারের বন্দিদের হাতে তৈরি পণ্য বিক্রি হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায়। এজন্য ‘বাংলাদেশ জেল, কারা পণ্য’ নামে একটি প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে, যেখানে বিক্রি হচ্ছে বাঁশ, বেত, কাঠ, সুতো ও পাট দিয়ে বন্দিদের হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য। এসব হস্তশিল্প, কার্পেট ও শোপিসে মুগ্ধ ক্রেতারা। ২০১৮ সাল থেকে বাণিজ্যমেলায় অংশ নিচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শুক্রবার দেখা যায়, মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থী একবারের জন্য হলেও ঢুঁ মারছেন এই প্যাভিলিয়নে, কিনছেন সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পণ্যটি। বন্দিরা বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি করেছেন মোড়া, শোপিস, ব্যাগ ও বসার সোফা। পাটের ব্যাগ, পাপোশ ও কার্পেট তৈরি করেছেন। ভিন্নতা থাকায় এসব পণ্যে আকৃষ্ট হচ্ছেন ক্রেতারা। আর এসব দৃষ্টিনন্দন পণ্য তৈরি করেছেন সশ্রম কারাবন্দিরা।
প্যাভিলিয়নটিতে পাট ও কাঠের তৈরি টেবিল-চেয়ার ও শোপিস ছাড়াও আছে জুতা, বিছানার চাদর, কুলাসহ গৃহসজ্জার নানা পণ্যের সম্ভার। এসব পণ্যের বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো।
প্যাভিলিয়নে গিয়ে জানা যায়, বেতের মোড়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, ঘর সাজানোর ফুল ও ফুলের ঝুড়ি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, উলের গেঞ্জি ও টি-শার্ট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাটিক ও জামদানির থ্রিপিসের দাম ৫০০ থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
মেলায় আসা গৃহিণী শাহিনা আক্তার বলেন, পণ্য দেখতে ভালো। টেকসই মনে হচ্ছে। দামও কম। এটা আমাদের কারাগারে থাকা ভাই-বোনেরা বানিয়েছেন। তারা অবসর সময়টা ভালো কাজে লাগাচ্ছেন।
প্যাভিলিয়নে মামুন নামের একজন ডেপুটি জেলার বলেন, আমাদের নিজস্ব উদ্যোগে সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা এই কাজগুলো করেছেন। এসব পণ্যের মান ভালো। ক্রেতাদের কারাপণ্যের প্রতি ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
প্যাভিলিয়ন সংশ্লিষ্টরা জানান, কারাগারে প্রত্যেক বন্দিরই একটা ক্যাশ থাকে। পণ্য বিক্রি করে লাভের একটা অংশের টাকা সেখানে জমা দেয়া হয়। এই টাকা দিয়ে বন্দিরা খাবার কিনে খেতে পারেন, কিংবা আইনি সহায়তার জন্য আইনজীবীকে দিতে পারেন।