Print Date & Time : 2 August 2025 Saturday 6:58 pm

বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় পাকিস্তান

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান। বাংলাদেশ থেকে চা, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, তৈরি পোশাক, সিরামিক পণ্য, জুতা এবং চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য পাকিস্তানে রপ্তানি করা হয়। এ রপ্তানি আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সব ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। সেগুলো দূর করা গেলে বাণিজ্য আরও বাড়বে। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগানো যায়।

সচিবালয়ে গতকাল নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অতি সম্প্রতি হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রপ্তানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। এ ধরনের পদক্ষেপ বাণিজ্য বিকাশে বাধা। আলোচনার মাধ্যমে বিরাজমান যে কোনো সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। উভয় দেশের মধ্যে গঠিত যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) সভায় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা সম্ভব। বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করে বাণিজ্য বাড়াতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া যেতে পারে।

হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন করে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী পাকিস্তান। বাংলাদেশের তৈরি সিরামিক পণ্য পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তৈরি পোশাক, ফার্মাসিটিক্যাল পণ্য এবং পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে পাকিস্তানে।

তিনি পাকিস্তানিদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশ সফরের ভিসা সহজিকরণ ও পণ্য পরিবহনে ঢাকা-করাচি সরাসরি যোগাযোগ চালুর অনুরোধ করেন। তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ার করার আহ্বান জানান এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) নবম সভা অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাকিস্তানে পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাণিজ্য জটিলতা দূর হলে পাকিস্তানের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।