শেয়ার বিজ ডেস্ক : উইঘুর মুসলিমদের আটক বন্ধ করতে চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে জাতিসংঘে ২২টি দেশের উদ্যোগে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনার সহায়ক হবে না। খবর: বিবিসি।
চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলিমের বাস। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর মুসলিম। এ প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার সেখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপকহারে আটকের শিকার হচ্ছে। চীনে হান চাইনিজরা সংখ্যাগুরু। তাদের তুলনায় মুসলিম উইঘুরদের সংখ্যা নগণ্য। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোও জাতিসংঘের কাছে এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের অভিযোগ এনেছে তারা। তবে চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার কমিটির কাছে ২৩টি দেশের যৌথ বিবৃতি উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ার্স। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা চীন সরকারকে তাদের অভ্যন্তরীণ আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানাই এবং জিনজিয়াংসহ পুরো চীনে ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ২৩টি দেশের এ বিবৃতির কড়া সমালোচনা করেছে চীন। জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের দূত যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে সাংবাদিকদের বলেন, কল্পনা করা কঠিন যে এক হাতে আপনারা বাণিজ্য চুক্তির চেষ্টা করবেন, আর অপর হাত দিয়ে অন্য ইস্যু, বিশেষ করে মানবাধিকার ইস্যুতে অন্যকে দোষারোপ করবেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি না এটা বাণিজ্য আলোচনার ভালো সমাধানের জন্য সহায়ক হবে।
প্রসঙ্গত, চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিংও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে।