ডি-৮-ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত ডি-৮-ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মধ্যকার মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার ডিসিসিআই গুলশান সেন্টারে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্য ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইরফান ইকবাল শেখের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা চেম্বারের পর্ষদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সভায় ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোয়ার হোসেন জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫৮৫ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া দুদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার যোগাযোগ সম্প্রসারণ, আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং যৌথ গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতে ব্যবসা-বিনিয়োগের এ ধারাবাহিকতা আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার বাণিজ্যে ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় নীতিমালার সংষ্কার, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন, ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ শুল্কায়ন প্রতিবন্ধকতা নিরসন করা প্রয়োজন।

আলোচনায় পাকিস্তানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দুদেশ নিজেদের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করতে পারে। তিনি জানান, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষ করে সফটওয়্যার রপ্তানিতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এ অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য হারে উন্নতি করছে, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে ইতিবাচক হতে পারে। বাংলাদেশে উৎপাদিত বিশ্বমানের ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হালাল পণ্য, সিরামিক প্রভৃতি পণ্যের পাকিস্তানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে তিনি অবহিত করেন।  

এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আহমেদ সুলেহ ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৯ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭১ দশমিক ৫৩ এবং ৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, নাইজেরিয়া সে দেশের ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস-এর উন্নয়নে শুল্ক নীতিমালার সংষ্কারসহ অনলাইনে ভিসা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বিকাশ বেশ লক্ষণীয়, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নাইজেরিয়ার এসএমই খাতে উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তিনি দুদেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের মধ্যে নিয়মিত বিটুবি আয়োজনের প্রস্তাব করেন। তিনি জানান, নাইজেরিয়াতে বাংলাদেশের ওষুধ ও তৈরি পোশাক খাতের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসিসিআইর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যকার সম্ভাবনাময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আরও সম্প্রসারণে ‘বাংলাদেশ-নাইজেরিয়া বিজনেস কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।